ভোলা ছাত্রদল নেতা নূরে আলমের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

ভোলার ছাত্রদল নেতা নুরে আলমের (৩৬) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকাল ৮টায় ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা থাকলেও, শুরু হয় সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে। শেষ হয় বেলা ১২টার দিকে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোখলেসুর রহমানের নেতৃত্বে এক দল চিকিৎসক মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন।

ফরেনসিক প্রধান অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এ মুহূর্তে কিছু বলা যাবে না। তবে আমরা বেশ কিছু ফাইন্ডিংস পাই। এছাড়াও নেক টিসু, ব্লাডসহ বেশকিছু প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে সঠিক প্রতিবেদন দেওয়া যাবে।’

পুলিশের গুলিতে মারা গেছে অভিযোগ রয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছড়া গুলির ফাইন্ডিংস পাওয়া গেছে। পর্যালোচনা ছাড়া কিছু বলা যাবে না।’

এর আগে, নির্বাহী ম্যাজিট্রেটের উপস্থিতিতে শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল মুন্সি সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। সকাল থেকে মর্গ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।

নিহতের স্বজন ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নেতা ডা. জাহিদ ছিলেন মরদেহ নেওয়ার অপেক্ষায়। জাহিদ বলেন, ‘সকাল ৮টায় ময়নাতদন্ত শুরু করার কথা ছিল, কিন্তু তারা সময়ক্ষেপণ করেছেন। এটা তাদের অবহেলা।’

নিহতের বড় ভাই আবুল কামেম বলেন, ‘নুরে আলমের প্রথম জানাজা বিএনপির পার্টি অফিসের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অপরটি ভোলা নিজ এলাকায় আলতাফুর রহমান কলেজের মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিবারে আলম ছাড়া কেউ কোনও রাজনীতি করতো না। চার ভাই চার বোনের মধ্যে সে ছিল ছোট। আলম ব্যাবসা করতো। আফরা (৫) নামে তার এক মেয়ে রয়েছে। স্ত্রীর নাম সিফাত।’

তিনি আরও বলেন, ‘তার কোনও শত্রু ছিল না, পুলিশসহ সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল।’

ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের ভাই মরদেহ বুঝে নেন। পরে পুলিশি পাহারায় পল্টনের পার্টি অফিসের উদ্দেশ্যে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।