নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া এদেশে নির্বাচন হবে না: টুকু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখেছি—আওয়ামী লীগ বিএনপিকে হাইফেনে যুক্ত করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগের সেক্রেটারিও বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত। তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দেশে আর নির্বাচন হবে না। কারণ, আমাদের নেতাকর্মীরা জীবন দিতে ভয় করে না।’   

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বাংলাদেশে কোনও নির্বাচন নয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যারা ধর্মীয় রাজনীতি করেন, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে এই না যে আওয়ামী লীগ সারা জীবন বিএনপি-জামায়াত বলবে। আমরা ওপেন করে দিয়েছি। যুগপৎ আন্দোলন করবো। যার যা শক্তি আছে তা নিয়ে মাঠে নামবো। এখানে প্রতিবন্ধকতার কোনও কারণ নেই।’

‘জোট করে সবাইকে একসঙ্গে নেওয়া যায় না, কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকে’ মন্তব্য করে করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এবার আমরা জয়লাভ করবো। সামনে আছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান। তিনি একটা বিষয় উপস্থিত করতে পেরেছিলেন, জোট করে সবাইকে একসঙ্গে নেওয়া যায় না। কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকে। আমরা ২০১৮ সালে তা দেখেছি।’

টুকু আরও বলেন, ‘আমরা ওপেন করে দিয়ে জাতীয় একটা ঐক্য সৃষ্টি করেছি। আমাদের বাইরে যারা আওয়ামী লীগের বিপক্ষে আছে, তারা এক হয়ে গেছে।’

ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘সরকার এখন ভীত যে এই বুঝি ক্ষমতা হারালো। আন্দোলনের শুরুতে আমাদের পাঁচ জনকে গুলি করে হত্যা করলো। মান্না সাহেব আন্দোলন করে নেতা হয়েছেন। আমিও রাস্তায় স্লোগান দিয়ে আজকে এখানে এসেছি। আমাদের জীবনে দেখিনি আন্দোলনের শুরুতে ৫ জনকে জীবন দিতে হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নেই।’

তিনি বলেন, ‘আন্দোলন যদি এখনও শুরু না হয় তাহলে ৫ জন জীবন দিলো কেন? আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ গত ১৩ বছরে একটা দানবীয় সরকার হয়ে গেছে। তাই যা ইচ্ছে তা-ই করছে। প্রশাসনকে হাতিয়ার বানিয়েছে। এরমধ্যেই ৫ জন জীবন দিয়েছে।’

ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দেশে আর নির্বাচন হবে না। কারণ, আমাদের নেতাকর্মীরা যেমন জীবন দিতে ভয় করে না, তেমনি আমরা যারা বৃদ্ধ, যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, তারাও ভয় করি না।’ এছাড়া সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংগঠনের সভাপতি শামা ওবায়েদ ইসলামের সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।