নয়াপল্টনে বিএনপির কর্মীদের জড়ো হওয়ার চেষ্টা

গতকাল বুধবার (৭ ডিসেম্বর) পুলিশি অভিযানে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবারও (৮ ডিসেম্বর) পল্টন নাইটেঙ্গেল মোড়ে এসে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন। কেউ কাউকে চেনেন না। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলেও অল্প অল্প করে তারা আবারও জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন এবং কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন।

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা থেকে আসা বিএনপি কর্মী সোহেল জানান, তিনি গতকাল বুধবার সমাবেশে যোগদান করতে ঢাকায় এসে কার্যালয়ে অবস্থান নেন। গতকাল বিকালে কার্যালয়ে পুলিশ অভিযান চালালে তিনি বিচ্ছিন্ন হয়ে সরে যান।

সোহেল বলেন, ‘আমরা হাতিয়া উপজেলা থেকে অনেক নেতাকর্মী এসেছি। এর মধ্যে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে বলে শুনেছি। আজ আমি এখানে একাই। আশা করি আমার উপজেলার বাকিরাও আসবে।’

পাশে স্লোগান দেওয়া আরেক কর্মীর পরিচয়ের বিষয়ে সোহেলকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, ‘এইখানে আমরা কেউ কারও পরিচিত না। সবাই বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছি।’ বিএনপির নেতাদের পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এখানেই অবস্থান নেবেন বলে জানান তারা।

পল্টন চায়না টাওয়ারে ১২ জন কর্মী নিয়ে কাজ করতে আসেন ঠিকাদার মিঠু। গতকাল (৭ ডিসেম্বর) বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের পর আজ বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় এলাকা ছেড়ে চলে যান তারা।

তিনি জানান, তিন মাস ধরে চায়না টাউন বিল্ডিংয়ে কাঠের ঠিকাদারির কাজ করছিলেন তিনি। গতকাল থেকে বিল্ডিংয়ের গ্যাস বিদ্যুৎ পানি বন্ধ থাকায় তাদের সেখান থেকে চলে যেতে হচ্ছে।

ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করা নেতাকর্মীরা পুলিশ অগ্রসর হলে তারা সরে দাঁড়ায়। পরে পুলিশ তাদের বিজয়নগর পানির ট্যাংকির দিকে সরিয়ে নিয়ে যায়।