নওগাঁর জেসমিনের মৃত্যুর দায় সরকারের: মির্জা ফখরুল

নওগাঁয়ে র‌্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর দায় সম্পূর্ণ সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে পল্লবী ও রূপনগর থানা বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আজকে কেউ বাদ যাচ্ছে না। আমরা শুধু বিএনপির লোকেরা নই, সাধারণ মানুষও বাদ যাচ্ছে না। নওগাঁর একজন  মহিলা, তিনি সরকারি কর্মচারী। কী কারণে তাকে র‌্যাব তুলে নিয়ে গেলো—এখন পর্যন্ত জানা যায় নাই এবং তুলে নিয়ে যাওয়ার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে তিনি নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করলেন, তাকে মেরে ফেলা হলো।’

ফখরুল বলেন, ‘‘এখন তারা বলছে যে এটা ভুল হয়েছে। এক মন্ত্রী বলছেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট—এটার অপপ্রয়োগ করা হয়েছে।’ এই অপপ্রয়োগের ফলে একজন নিরপরাধ অসহায় নারীর জীবন পর্যন্ত চলে গেলো। এর দায় কে নেবো? এই দায় সম্পূর্ণ সরকারকে নিতে হবে।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আবার বাকশাল প্রতিষ্ঠা করবার জন্য, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবার জন্য, আবারও সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে তারা নিষিদ্ধ করে নাই, কিন্তু রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম তারা বন্ধ করে দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপিকে তারা বাইরে কোথাও কর্মসূচি করতে দিতে চায় না। আজকে যদি খোলা জায়গায় প্যান্ডেলে করতে পারতেন, তাহলে এত সমস্যা (প্রচণ্ড ভিড়) হতো না। কিন্তু বাইরে কর্মসূচি করতে দেয় না। তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে চায়, তারা নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের মধ্যে নিয়ে যেতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘সেভাবে আবারও তারা নতুন নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে যে ২০২৩ সালের শেষে অথবা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে নির্বাচন করবে। সেই নির্বাচন আবারও আগের মতো করবে, ২০১৪-তে যেমন করেছে, ২০১৮-তে যেমন করেছে, বিরোধী দল থাকবে না। শুধু আপনারাই থাকবেন আর আপনার পুলিশ, পাইক-পেয়াদারা থাকবে। যেমন খুশি তেমন সিল মেরে ভোটের আগের রাতেই ফলাফল নিয়ে যাবেন।’