X
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
৪ আষাঢ় ১৪৩২

নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে: আমির খসরু

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৩ মে ২০২৫, ১৬:৫৬আপডেট : ১৩ মে ২০২৫, ১৬:৫৬

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ফ্যাসিস্টের পলায়নের পর বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতে যে পরিবর্তন আসছে, সেটা কী আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো? আমরা ধারণ করতে পারবো? এই বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ আজ আমাদের জন্য। তাই আমাদের যদি বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হয়, একটি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে। এটার কোনও দ্বিতীয় অল্টারনেটিভ নাই।

মঙ্গলবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে কাজগুলো শুরু করা দরকার, সে কাজগুলো শুরু হতেই আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আমরা সেই কাজের আশেপাশে নাই কিন্তু। বিগত দিনে আমরা যেগুলো দেখে আসছি, মনে হচ্ছে সেগুলো একটা ভিন্ন রূপে আমাদের কাছে চালু হয়ে গেছে। এখানে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। আমরা ৩১ দফা সংস্কার দিয়েছি। তার আগে বিএনপি ২৭ দফা সংস্কার দিয়েছে। তার সাত বছর আগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ এর মাধ্যমে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু এখন যারা সংস্কারের কথা বলছে, এদের কারও চেহারা আমরা দেখি নাই। আর এদের অনেকে রাস্তায়ও ছিল না। এখন যারা বড় বড় কথা বলছে এর বেশিরভাগ লোকের চেহারা আমরা দেখি নাই আন্দোলনের সময়। এদের মধ্যে কেউ কেউ উঁকিঝুকি মেরেছে। যখন শেখ হাসিনার ক্ষমতার চাপ তাদের ওপর গেছে, তারা গর্তে ঢুকে গেছে, আর বের হয় নাই। এখন তারা গর্তে থেকে বের হয়ে আমাদের সংস্কারের তালিম দিচ্ছে।

তিনি বলেন, আপনি যত সংস্কারের কথা বলবেন, দিন শেষে সংস্কার হতে হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে কোনও সংস্কার করা যাবে না। এখানে কাউকে আমরা বাংলাদেশের মালিকানা দেইনি, যারা আগামীর বাংলাদেশের সংস্কার করবে। বাংলাদেশের সংস্কার হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, বাংলাদেশের মানুষের সমর্থনের মাধ্যমে। তার বাইরে সংস্কারের কোনও সুযোগ নাই। আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, যেসব সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য হবে সেগুলোর জন্য আমরা প্রস্তুত। দেরি কেন? আমরা কেন জানতে পারছি না কোথায় ঐকমত্য হয়েছে। সব রাজনৈতিক দল প্রস্তাব দিয়ে বসে আছে। আমরা তো অপেক্ষা করছি, ঐকমত্য কোথায় হবে। তারাও বলছে ঐকমত্য করতে হবে, আমরাও বলছি ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে হবে। তাহলে কোথায় ঐকমত্যটা, কোথায় আমরা জানতে পারছি না কেন? 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, শেখ হাসিনা বলতো আমি তো বাংলাদেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছি, আপাতত নির্বাচন না হলেও চলবে। মানবাধিকার কিছু না। এরকম কিছু কিছু কথা আমরা শুনতে পাচ্ছি ইদানিং। এখানে অনেক কিছু হচ্ছে। আমি বলছি, কারও চেহারা দেখে এখানে কেউ বিনিয়োগ করবে না। বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরাও করবে না, বিদেশিরাও করবে না নির্বাচিত সরকার ব্যতীত।  

ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার প্রমুখ।

 

/এএজে/আরআইজে/
সম্পর্কিত
সরকার দক্ষিণ সিটির সেবায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে: ইশরাক
সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
আমাদের প্রস্তাবের বাইরেও অনেক বিষয়ে একমত হয়েছি: সালাহ উদ্দিন
সর্বশেষ খবর
সরকার দক্ষিণ সিটির সেবায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে: ইশরাক
সরকার দক্ষিণ সিটির সেবায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে: ইশরাক
টাঙ্গুয়ারকে বাঁচাতে ৬ দাবি হাওরবাসীর
টাঙ্গুয়ারকে বাঁচাতে ৬ দাবি হাওরবাসীর
অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার ছাত্রদলের দুই নেতাকে বহিষ্কার
অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার ছাত্রদলের দুই নেতাকে বহিষ্কার
সারা দেশে ভারী বৃষ্টি, পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা
সারা দেশে ভারী বৃষ্টি, পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা
সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলি হামলার পর তেহরানের হাসপাতালে ‘রক্তস্নান’
ইসরায়েলি হামলার পর তেহরানের হাসপাতালে ‘রক্তস্নান’
সিরিয়ার আকাশ দিয়ে ইরানে বোমা ফেলছে ইসরায়েল: নীরব সরকার, বাড়ছে ক্ষোভ
সিরিয়ার আকাশ দিয়ে ইরানে বোমা ফেলছে ইসরায়েল: নীরব সরকার, বাড়ছে ক্ষোভ
‘যুক্তরাজ্যে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে বড় ধরনের অগ্রগতি’
‘যুক্তরাজ্যে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে বড় ধরনের অগ্রগতি’
দেশে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে গুগল পে: ডিজিটাল লেনদেনে নতুন যুগের সূচনা
দেশে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে গুগল পে: ডিজিটাল লেনদেনে নতুন যুগের সূচনা
ডিসি ফিট লিস্টের জন্য ডাক পেলেন ৪০ কর্মকর্তা
ডিসি ফিট লিস্টের জন্য ডাক পেলেন ৪০ কর্মকর্তা