আ.লীগ শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি করছে: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘গত ১৫ বছর আপনাদের অত্যাচার সহ্য করেছি, আর সহ্য করতে পারবো না। আপনারা গতকাল নোয়াখালীতে আমাদের লোক মেরেছেন, লক্ষ্মীপুরে লোক মেরেছেন। আপনারা শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি করছেন। আমাদের সমাবেশে তো কোনও অশান্তি হয় না। অনেক ছাড় দিয়েছি। আর কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

বুধবার (১৮ জুলাই) সকালে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আব্দুল্লাহপুর থেকে পদযাত্রা শুরুর আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অত্যাচার অনেক সহ্য করেছি, আর সহ্য করবো না। অত্যাচারের জবাব দেবো। ছেড়ে দেওয়ার দিন শেষ, খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের বাংলাদেশকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। সুতরাং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমার কথা বলার অধিকার আদায় করবো।’

বেলা ১১টা ১০ মিনিটে আব্দুল্লাহপুরের পলওয়ে মার্কেটের সামনে থেকে শুরু হয় পদযাত্রা ছবি: নাসিরুল ইসলাম

তিনি বলেন, ‘এক দফা এক দাবি, এই প্রত্যয়ে আজ এই পদযাত্রা। বাধা অতিক্রম করে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন সংবিধান থেকে একচুলও নড়বেন না। আমরাও সংবিধানের বাইরে যাবো না। কিন্তু খায়রুল হকের সংবিধান না, বাংলাদেশের সংবিধান। যে সংবিধানে কাটাছেঁড়া করা হয়নি, সেই সংবিধানের অধীনে আমরা নির্বাচন চাই। যেটা খায়রুল হক ও আপনাদের সংবিধান, সেই সংবিধানের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো না।’

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানসহ দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত আছেন।

পদযাত্রাটি আব্দুল্লাহপুর থেকে বিমানবন্দর, কুড়িল বিশ্বরোড, নতুন বাজার, বাড্ডা, রামপুরা ব্রিজ, আবুল হোটেল, খিলগাঁও, বাসাবো, মুগদাপাড়া, সায়েদাবাদ হয়ে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হবে।