রাষ্ট্রীয় মদতে নাশকতার অভিযোগ তুলে জাতিসংঘে বিএনপির চিঠি

রাষ্ট্রীয় মদতে অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা চলছে অভিযোগ করে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় ও বিভিন্ন দূতাবাসে চিঠি পাঠিয়েছে বিএনপি। রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতিসংঘ মহাসচিবের দফতর চিঠি গ্রহণ করেছে।

পাঠানো চিঠিতে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি চিহ্নিত অংশের যোগসাজশে গত ১৯ ডিসেম্বর  ঢাকায় চলন্ত ট্রেনের তিনটি বগিতে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং এতে চার যাত্রী মারা যান।

ঘটনার বিশ্লেষণ করে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, অগ্নিকাণ্ডের দুই দিন আগেই ১৯ ডিসেম্বরের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিশেষভাবে সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত শয্যা, জরুরি পরিষেবা, ডাক্তার ও অ্যামবুলেন্স প্রস্তুত রাখার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

এছাড়া গত ২৮ অক্টোবর দলীয় মহাসমাবেশ কর্মসূচির দিন কাকরাইল মোড়ে প্রধান বিচারপতির বাসা ভাঙচুর ও সামনের সড়কে অগ্নিসংযোগের কারণে পুলিশের সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রশাসনকে দায়ী করে জাতিসংঘে পাঠানো চিঠিতে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা ঢাকায় একটি মহাসমাবেশের আয়োজন করেছিলাম। আমাদের মহাসমাবেশ বানচাল ও চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সেদিন একটি ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ পুলিশের চিহ্নিত অংশ।’

২৮ অক্টোবরের ঘটনায় নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে ঘটনার দিনের নানান তথ্য-প্রমাণ উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। এতে বলা হয়, মুখোশধারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের সহায়তায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালায় এবং পুলিশ হাসপাতালের সামনে বাস ও গাড়িতে আগুন দেয়; প্রকাশ্য দিবালোকে একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যাও করে।

এছাড়া বিএনপির হরতাল অবরোধ কর্মসূচির দিনগুলোতে বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহনে আগুন দেওয়ার ঘটনার পেছনেও সরকারের বাহিনী রয়েছে বলে অভিযোগ দলটির। বিএনপি দাবি করে, দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করতেই আওয়ামী লীগ সরকারের মদতে এসব অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

চিঠিতে বিএনপি নেতাদের গণগ্রেফতার, জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়, আওয়ামী লীগ নেতাদের আক্রমণাত্মক বক্তব্যসহ নানান অভিযোগ করা হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।