গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের গতি থেমে নেই: গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের যে চলার গতি সেটি কিন্তু থেমে নেই। এটি জাতির জন্য সৌভাগ্য। সব শ্রেণি-পেশার মানুষই আজ আহত, নিষ্পেষিত। তারা পুরো দেশকে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৮তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। আলোচনা সভার আয়োজন করে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম।

গণতান্ত্রিক বিশ্বে ভারতকে বাদ দেওয়া যায় না জানিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তাদের ৭২ বছরের গণতন্ত্রের প্রচলন আছে। নিজের দেশে গণতন্ত্র থাকলেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকুক সেটা তারা চান না। বাংলাদেশে সার্বভৌমত্ব থাকবেই কেন, আমাদের সেনাঘাঁটিতে যদি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিস করা যায়, আসা যায়। তাহলে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিরাপদ থাকবে, এটা ভাবা আর 'বোকার স্বর্গে বাস করা এক কথা না'। পৃথিবীর কোন দেশে এমন নিয়ম আছে?"

ভারতের সহযোগিতায় যদি ৯ মাসে দেশ স্বাধীন হয়, আর সহযোগিতা না করে যদি ৯ বছর লাগতো তাহলে এমন পঙ্গুত্ববরণ করতে হতো না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

শিল্পমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ইফতারে আপেল-খেজুর খাওয়ার যদি প্রয়োজন না থাকে তবে এগুলো রাখার দরকার কি?

বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারি যে ডামি নির্বাচন করেছেন, তাতে কয়েকটি দেশ প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন দিয়েছে। তাদের ছাড়া গণতন্ত্রকামী বিশ্ব এই নির্বাচনকে ছি ছি করেছে। ভারত একটি করিডোর চায়। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে তা দিয়েও দিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া দিয়ে আগরতলা- এটা তো হয়েছে। এখন তারা আর একটা করিডর চাচ্ছে। এগুলো তারা তলে তলে আগে আলোচনা করে রেখেছিল। যার কারণে পলিসিগতভাবে প্রত্যক্ষভাবে শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিয়েছে ভারত।

তিনি বলেন, দেশের একটা জায়গা দিয়ে দেওয়া মানে দেশের ৯০% সার্বভৌমত্ব দিয়ে দেওয়া- এটা শেখ হাসিনা করেছেন। এর আগে যেমন গ্যারান্টি পেয়েছিলেন যে নির্বাচন সুষ্ঠু হোক আর না হোক, তুমি নির্বাচনে আসো আর না আসো, তুমি ক্ষমতায় থাকবে।

রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনা এত ক্ষমতাবান হিসাবে তার বিরোধী দল রাখবে না এই প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আর এই জন্যই দেশের গণতন্ত্র বারবার আওয়ামী লীগের কাছে অবরুদ্ধ হয়। সুতরাং এই প্রবল প্রতাপশালী গণতন্ত্র হরণকারী সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে জিততেই হবে।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলালের সভাপতিত্বে এসময় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম প্রমুখ।