হাসপাতালে খালেদা জিয়া

শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আবারও হাসপাতালে এসেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। বুধবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান তিনি।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তার অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে আছে। করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান। সবশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।

গত বছরের ২৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলাদেশে আসেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা জন্য। তাদের চিকিৎসা শুরুর পরই খালেদার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। সে যাত্রায় হাসপাতালে ১৫৬ দিন থেকে এ বছরের ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে কিছুদিন বিরতি দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে তাকে। সবশেষ গত ফেব্রুয়ারির শুরুতেও শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালেও নেওয়া হয় তাকে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার জানান, বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে হাসপাতালে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

তিনি বলেন, ‘আজ দুপুরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ম্যাডামের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।’

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে যাওয়াকে কেন্দ্র করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ দলের মহানগর উত্তর দক্ষিণ বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মিডিয়া সেল সূত্র জানায়, হাসপাতালে খালেদা জিয়ার বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এরপর চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত দেবেন, কী করণীয়। ইতোমধ্যে সরকারের শর্তসাপেক্ষ মুক্তির মেয়াদের ষষ্ঠবার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। নতুন দফায় সরকার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়াবে বলে জানায় সূত্র।