নির্বাচন চায় তৃণমূল বিএনপি

ছবিতে কাউন্সিলররাদলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইল বিএনপির তৃণমূলের নেতারা। শনিবার দুপুরে ৬ষ্ঠ কাউন্সিলের সভাপতির বক্তব্যে খালেদা জিয়া নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে সংলাপের আহ্বান জানান। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত নেতারাই চাইলেন নির্বাচন। তৃণমূল নেতারা মনে করেন, দেশের গণতন্ত্র নির্বাচনে। এ কারণে সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন হলে দেশের পরিবেশ স্থিতিশীল ও উন্নয়নে অগ্রগতি সম্ভব হবে।
পাবনা জেলা বিএনপির সভাপতি মেজর অব. কে এস মাহমুদ বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতেই সব দলের অংশগ্রহণে একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান খুবই জরুরি।
সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী জামাল উদ্দীন ভুঁইয়া মনে করেন, খালেদা জিয়ার সংলাপের আহ্বানে সরকারের সাড়া দেওয়া উচিৎ। এতে করে দেশের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে। অন্যথা দেশের পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে।
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান না হওয়াকেই দায়ী মনে করেন গুলশান থানা বিএনপির কাউন্সিলর ফারুক হোসেন ভুঁইয়া। তিনি বলেন, একটি অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের পরিস্থিতি কোথায় যায়, সেটি এখন বাংলাদেশকে দেখলেই বুঝা যায়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চান কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন। তিনি বলেন, সব দলের অংশগ্রহণেই নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া দরকার। তার দাবি, দেশে সঠিক গণতন্ত্রচর্চা হচ্ছে না।

 

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও অনেক খারাপের দিকে যাচ্ছে। এসব কারণেই স্বচ্ছ নির্বাচন প্রয়োজন।
একই দাবি করেছেন সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক বেলাল হোসেন, কুমিল্লার কাউন্সিলর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, কুমিল্লার পাকুন্দিয়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শামসুল আলমসহ আরও কয়েকজন কাউন্সিলর।

তাদের এক দাবি, তারা খালেদা জিয়ার মতো সংলাপ চান এবং নির্বাচনও চান স্বচ্ছ।

/এএইচ/