কেমন আছে বিএনপির তৃণমূল?

বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ভালো নেই। মামলা আর মামলার জামিন নিয়েই বেশিরভাগ নেতাকর্মীর ২৪ ঘন্টা কাটে। এছাড়াও রয়েছে সরকারদলীয় নেতাকর্মী দ্বারা নানামুখী হয়রানি। শনিবার বিএনপির ৬ষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে আগত কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে মিলেছে এসব অভিযোগ।

নোয়াখালী বেগমগঞ্জের বিএনপিকর্মী ফখরুল ইসলাম সজল বলেন, আমার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। জামিনে আছি। প্রতি মাসে হাজিরা দিতে হয়। অনেক টাকা এতে খরচ হয়ে যায়। গ্রেফতারের  ভয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এলাকায় থাকতে পারছি না। গ্রামের বাড়িতে ব্যবসা ছিল। এখন সেই দোকানও বন্ধ রাখা হয়েছে। বাড়িতে হুমকি দিয়ে যায় সরকারদলীয় লোকেরা।

কাউন্সিলে উপস্থিত তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা। ছবি: সালমান তারেক শাকিল

 

নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী পৌরসভার বিএনপিকর্মী মুহাম্মদ ইউসূফ বলেন, মামলা কয়টা আছে জানি না। বেনামে মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। রাজনীতি করার অবকাশ নেই। 

সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসেম। কাউন্সিলের উদ্দেশে শনিবার ভোরে এসে ঢাকায় নেমেছেন। ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, আমার নামে মামলা ছয়টি। জামিনে আছি। গ্রেফতার হয়েছি তিনবার। নিয়োগবাণিজ্য নিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছি সরকারদীয় লোকদের হাতে। মাছের চাষ করতে গিয়েও নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছি। 

কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন জানান, তার বিরুদ্ধে সাতটি মামলা আছে। 

একই স্থানের পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শাফিউদ্দিন বলেন, মামলার হামলার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে আছি আটটা বছর। প্রত্যেকটা দিন ভীষণ আতঙ্কে কাটে। 

সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী জামাল উদ্দীন ভুঁইয়া জানান, তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা চলছে। গ্রেফতার হয়েছেন তিনবার। 

এ প্রতিবেদন লেখার সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরুতেই বলেন, তার দল সরকারের অতিমাত্রিক নিপীড়নের মধ্য দিয়ে গত আট বছর কাটিয়েছে।

বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল

তিনি আরও বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত হয়েছে। আসল বিএনপি, নকল বিএনপি দিয়ে ষড়ন্ত্র চলছে। তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরাই পারেন এই চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে।  

/এইচকে/