‘বিচার বিভাগে ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারা ছিলেন, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলছেন, ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে বিচার বিভাগে যারা কাজ করেছেন, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে এ ধরনের কমপক্ষে ৩০ জন দোসর আইন অঙ্গনে রয়েছেন। অবিলম্বে তাদেরকে সরাতে হবে। যারা অবসরে চলে গেছেন, তাদেরকেও ছাড় দেওয়া যাবে না।

কারণ এই বিচারকরাই ২০২৪ সালের  নির্বাচনের আগের রাতে আদালত বসিয়ে ভিন্নমতের লোকদের সাজা দিয়েছেন। বেগম জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ও তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকালে সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ. জে. মোহাম্মদ আলীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।

সভায় সঞ্চালনায় ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তাই শুধু বিচারকদের স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য নয়, পুরো বিচার বিভাগকে স্বাধীন করতে বিচার বিভাগকে ঢেলে সাজাতে হবে। এটাই প্রকৃত সময়। তিনি আইন ও বিচার বিভাগে এ.জে. মোহাম্মদ আলীর বিভিন্ন অবদান তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান, এ. জে. মোহাম্মদ আলীর সহধর্মিণী মিসেস ফারজানা আলী প্রমুখ।