‘যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারবেন না, তারাই বিরোধিতা করছেন’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারবে না, তারাই নির্বাচনের বিরোধিতা করছে। তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটে নির্বাচিত সরকার চায়।

শনিবার (১৭ মে) বাদ আসর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সুস্থতা কামনায় জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওলামা দলের আহ্বায়ক সেলিম রেজার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল হোসাইনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন— বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, ওলামা দলের সাবেক সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ।

ড. মঈন খান বলেন, শুধু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই স্বৈরাচারের পতন হয়নি। বিগত ১৫ বছরে আন্দোলনের মূল ভিত্তি তৈরি করেছিল বিএনপিসহ প্রতিটি গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল। তিনি বলেন, বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় কারাবরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু পাঁচ আগস্টের পর অন্যদের নির্যাতন করেনি।

পাঁচ আগস্টের পর শেখ হাসিনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা বলেছিলেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। অথচ বিগত সরকার তার বিরুদ্ধে ৩৫টি মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। আমি মনে করি, এতে বেগম জিয়া প্রকৃত রাষ্ট্রনায়কের মতো উত্তর দিয়েছেন।

তিনি বলেন, কিছু দিন যাবত বাংলাদেশের একটি গোষ্ঠী এক অদ্ভুত কথা বলছে। তারা বলছে, আগামী নির্বাচনে যেন স্বৈরাচার না আসে। তাদেরকে প্রশ্ন রাখেন তারা কি বিগত দিনের মতো ভুয়া নির্বাচন হোক, তা চান? যদি না চান, তাহলে এ প্রশ্ন আসবে কেন? বিএনপি বিশ্বাস করে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার আসবে। এতে যারাই নির্বাচিত হবেন, আমরা তাদের স্বাগত জানাবো। তিনি টালবাহানা না করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, শেখ হাসিনা ছিলেন নিকৃষ্ট ও ছোট মনের মহিলা। তিনি যখন গ্রেফতার হলেন বেগম খালেদা তার মুক্তি দাবি করলেন। অথচ তিনি বেগম জিয়াকে হুইলচেয়ার ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তার মৃত্যু কামনা করেছিলেন। দেশের মানুষ এই খুনিকে ফাঁসির কাষ্ঠে দেখতে চায়। তিনি বলেন, খুনিদেরকে যারা আশ্রয় দিয়েছেন, তাদেরকে আমরা ধিক্কার জানাই।