জামায়াতের সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানো নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা কখনও কোনও বক্তব্য দেননি। আমরা নির্বাচন পেছানো, না করা, এ ব্যাপারে কোনও বক্তব্য কখনও রাখিনি। আমাদের আমির সাহেব বলেছেন, নির্বাচন আমরা চাই। কিন্তু সেই নির্বাচন যেন যেনতেন নির্বাচন না হয়।’
সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সেক্রেটারি আরও বলেন, ‘এই যেনতেন অর্থ হলো—কোনও দিকে প্রশাসন ঝুঁকে পড়বে, নিরপেক্ষ হবে না, আবার ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং হবে, আবার প্রশাসন জবরদস্তি করবে, কেন্দ্র দখল হবে। এ–জাতীয় নির্বাচনকে উদ্দেশ করে আমির বলেছেন, নির্বাচন আমরা হতে দেবো। কিন্তু যেনতেন নির্বাচন হতে দেব না। আর যারা করবেন, আমরা তাদেরও মেনে নেবো না।’
জামায়াতের নেতা বলেন, ‘সরকারের ভূমিকায় এখনও জনগণ সংশয়ের মধ্যে আছে। এ জন্যই বলছি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন আমরা মেনে নিতে পারি না।’
আগামী ১৯ জুলাই (শনিবার) রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘সকল গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবিতে ‘জাতীয় সমাবেশ’ করবে জামায়াত।
এ উপলক্ষ্যে সোমবার দুপুরে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে একটি টিম ‘জাতীয় সমাবেশ’ অনুষ্ঠানের স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন করেন।
টিমের অন্য সদস্যরা হলেন মাওলানা আবদুল হালিম, মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, মতিউর রহমান আকন্দ, নূরুল ইসলাম বুলবুল, শফিকুল ইসলাম মাসুদ, রেজাউল করিম, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, মো. ইয়াসিন আরাফাত, কামাল হোসাইন, আতিকুর রহমান ও নূরুল ইসলাম সাদ্দাম প্রমুখ।