আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সূচক ক্রমেই ওপরে উঠে যাচ্ছে: ফারুক

রাজধানীসহ সারা দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সূচক ক্রমেই ওপরে উঠে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।

সোমবার (১৯ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে বাংলাদেশ গণজাগরণ দলের উদ্যোগে ‘আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জন প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, পাড়া-মহল্লার গলিপথ থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট সর্বত্র এখন ছিনতাই আতঙ্ক ভর করেছে। সন্ধ্যা নামলেই চারদিকে ছিনতাই-ডাকাতির আতঙ্কে সাধারণ মানুষ বাইরে বের হতে ভয় পায়। খোদ রাজধানীতে শত শত মানুষের সামনে রামদা দিয়ে রিকশা আরোহীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার মতো ঘটনা ঘটছে। এমনকি বাসের মধ্যেও কেউ এখন নিজেকে নিরাপদ ভাবতে পারছেন না।

ড. ইউনূসের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের অনুরোধ করবো, মানুষের ভাষা বুঝুন। দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। আওয়ামী লীগের যে-সব দোসররা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে তাদের চিহ্নিত করুন। আপনার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করতে যাবো কেন? আপনাকে তো আমরাই সরকারে বসিয়েছি। সরকারের কাছে আমাদেরও অনেক দাবি আছে কিন্তু আমরা রাস্তায় নামি না।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, প্রায় প্রতিদিন ডাকাতি করে সর্বস্ব লুট করা ছাড়াও ধর্ষণের মতো পৈশাচিক ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিনই সারা দেশে এরকম অপরাধের চিত্র বাড়ছে। তবে এত পুলিশ থাকার পরও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কেন এত অবনতি হচ্ছে— সেটি নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আর প্রশ্নের শেষ নেই। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে এ বাহিনীতে নিয়োগের সময় একেবারে বেছে বেছে আওয়ামী পন্থিদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। একারণে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর সেসব দলীয় পুলিশ সদস্যের ভয়ংকর রূপ দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হাবিব আহমেদ আশিকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপি শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকিসহ সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।