আওয়ামী লীগের বড় পদভুক্ত নেতা, জেলা কমিটিসহ দলের সদস্যরা যেন আগামী নির্বাচনে স্বতন্ত্র বা অন্য দলের হয়ে অংশগ্রহণ করতে না পারে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে সেই দাবি জানিয়েছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।
সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এর আগে, বিকাল ৩টার দিকে এনডিএম এর পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সংসদীয় আসন পুনবিন্যাস, নির্বাচনী আচরণবিধি, প্রার্থীর অযোগ্যতা ও নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিসহ চারটি প্রস্তাব তুলে ধরে এনডিএম নেতারা। এ সময় নির্বাচনি ব্যয়সীমা ২৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ লাখ টাকা করার জন্য সিইসির কাছে প্রস্তাব দিয়েছে এনডিএম।
ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘অন্তরর্বর্তী সরকার যদি আইন পাশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে, আইনের পরিভাষা মানতে হবে, লেটার অব দ্য ল মেইনটইন হতে হবে। নিবন্ধন স্থগিত, যতক্ষণ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ না উঠানো হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আ. লীগ নির্বাচন করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘কথার কথা, নভেম্বরে যদি ইসি তফছিল ঘোষণা করে এবং সরকার একইসঙ্গে যদি স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয়, তখন আ. লীগের নির্বাচনে অংশ নিয়ে কথা উঠতে পারে।’
নির্বাচনি ব্যয়ের সঙ্গে কালো টাকার একটা প্রভাব থাকে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘এই ব্যয়সীমা যখন নির্ধারিত হয়েছিল, তখন মূল্যস্ফীতি, ক্রয়ক্ষমতার এক রকম ছিল। এখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন।’
ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘লাখ টাকায় আসলে নির্বাচনি খরচ কেউ সীমিত রাখেন না। এটা কোটি টাকায় চলে যায়। এখানে বাস্তবিক একটা খরচ নির্ধারিত না। মিথ্যাচারের আশ্রয় নিতে প্রার্থীদের আসলে জোর করা হয়।’
নির্বাচনে পোস্টার থাকছে না, বিলবোর্ড ও ব্যানারের মতো বিষয়গুলো যুক্ত হওয়াতে নির্বাচনি ব্যয় বাড়বে কিনা প্রশ্নে এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিলবোর্ড যদি প্রার্থীকে ভাড়া করতে হয় তাহলে ৪০ লাখ টাকা নির্বাচনে ব্যয় দিয়ে সম্ভব হবে না। এটা বাস্তব। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা আবেদন জানিয়েছি, যাতে নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নিয়ে প্রার্থীদের বিলবোর্ডের ব্যবস্থা করে।’