বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধে জাতিসংঘ ও ওআইসি চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এ ইস্যুতে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোও ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে পারেনি, যা দুঃখজনক।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) বাদ আসর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান মাদানী, মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি কামাল হোসেন, ড. আবদুল মান্নান, সহকারী সেক্রেটারি শামসুর রহমান প্রমুখ। কারণ বিশ্ব মোড়লদের বাইরে গিয়ে তারা কিছুই করতে পারবেন না। বায়তুল মোকাদ্দাস দখলের পাঁয়তারা থামাতে না পারলে বিশ্বে বিক্ষোভ চলবে। তা মুসলিম রাষ্ট্র প্রধানদের ক্ষমতায় রাখতে পারবে না।
বুলবুল বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বলেন, কোনও এক উপদেষ্টা ফিলিস্তিনের পতাকার সঙ্গে দাঁড়িয়ে একটি ছবি উঠিয়ে ফেসবুকে ছবি দিলেই সংহতি প্রকাশ হয়ে যায় না। সদিচ্ছা থাকলে জাতিসংঘের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রতিবাদ পাঠাতে হবে।
তিনি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়কে অবিলম্বে নেতানিয়াহুর লাগাম টেনে ধরার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাসুলের ভবিষ্যৎ বাণী অনুযায়ী ইসরায়েল ধ্বংস হয়ে যাবে। আর গাজা ও রাফা নিশ্চিন্ন করা যাবে না। যারা এ ধরনের অপচেষ্টা চালাবেন তারা টিকতে পারবেন না। আগামীতে বায়তুল মোকাদ্দাস হবে মুসলিমদের প্রধান রাজধানী।
মানবতাবিরোধী ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্চের বিষফোঁড়া ইসরায়েলকে বিশ্ব মানচিত্র থেকে নিষিদ্ধের দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এতে সেইভ গাজা ও ফিলিস্তিন মুক্ত হোকসহ ইসরায়েল বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টু এবং প্লেকার্ড নিয়ে অংশগ্রহণ করেন তারা। এছাড়াও বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা প্রদর্শন করে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়।