জেলা পরিষদ নির্বাচন মৌলিক নির্বাচন ছিল না: এরশাদ

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদজেলা পরিষদ নির্বাচন জনগণের নির্বাচন ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তিনি বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচন কোনও মৌলিক নির্বাচন ছিল না। সব ভোটার ছিল সরকারি দলের। এরপরও জাতীয় পার্টি দুই-তিন জায়গায় জয় লাভ করেছে। তবে আমরা দলগতভাবে কাউকে সমর্থন করিনি। কারণ এ নির্বাচনে যাওয়া সমীচীন হতো না।’ বৃহস্পতিবার গুলশানের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ‘মিট দ্য প্রেসে’ তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় জাপার কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

হুসেই মুহাম্মদ এরশাদ বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ সরকারের অধীনে করতে হবে। কারণ এ বিষয়ে আইন পাস হয়ে গেছে। তবে আমরা আশা করি, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মতো জাতীয় নির্বাচনও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।’ তিনি  বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৯ সালেই হবে। এ নির্বাচনে আমরা জোটগতভাবে নাকি দলীয়ভাবে অংশ গ্রহণ করব, তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে ১০০ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছি। আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই।’ বিভিন্ন কারণে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেই তার জীবনের শেষ নির্বাচন বলে উল্লেখ করেন। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এর আগেও এটা আমার জীবনের শেষ নির্বাচন বলেও অনেকবার নির্বাচন করেছি। তবে নির্বাচন করেছি বলে এখনও বেঁচে আছি। না হলে কবেই জেলে থেকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলে মরতে হতো!’

নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিভিন্ন দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির চলমান সংলাপ সফল হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমরা সংলাপে আইন প্রণয়নের বিষয়ে প্রস্তাব করেছি।’

/এসটিএস/এমএনএইচ/