মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত জাতীয় পার্টির!

জাতীয় পার্টি১৪ দলীয় মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। মঙ্গলবার (২ মে) রাতে জাপার সংসদীয় দলের সভায় সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তবে কখন, কবে এবং কীভাবে মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসা হবে, তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বুধবার (৩ মে) বিকালে বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন দলের প্রেসিডিয়ামের সদস্য ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাজনৈতিক সচিব সুনীল শুভরায়। তিনি বলেন, ‘কে বিরোধীতা করেছে নাকি করেনি, তা বলতে পারবো না। তবে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
জানা গেছে, গত কয়েক বছরে মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসতে একাধিকবার আলোচনা হয় জাপা নেতাদের মধ্যে। যদিও সরকারের মন্ত্রিসভার শরিক দু’একজন মন্ত্রীর কারণে তা চূড়ান্ত রূপ নেয়নি। তবে দলের চেয়ারম্যান এরশাদ ও কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বরাবরই বলে এসেছেন, ‘সরকারে শরিক থেকে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করা যায় না।’
দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে মন্ত্রিসভা থেকে বের হতে হবে। রওশন এরশাদ প্রস্তাব করেছেন মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেছেন, ‘পথ একটাই খোলা। দলে থাকতে হলে মন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়তে হবে, নইলে দল ছেড়ে মন্ত্রী থাকেন।’’
জাপার কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রেসিডিয়ামে অনেক আগেই এই সিদ্ধান্ত হয়ে আছে। এটাকে এতদিন ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বলে থাকলে খুব ভালো।’
জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের একটি সূত্র জানায়, মঙ্গলবারের বৈঠকে মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসার প্রস্তাব দেন সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। তার প্রস্তাবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু একমত পোষণ করেন। তবে সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেন জাপার প্রবীণ নেতা, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তার ভাষ্য, ‘এই মুহূর্তে নয়, সামনে সময় করে বের হওয়া যাবে।’

/এসটিএস/জেএইচ/