শনিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান-এর বনানী অফিস মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন কাদের।
জিএম কাদের বলেন, ‘জাতির জনক কোনও দল বা গোষ্ঠীর হতে পারে না। জাতির জনক সকল দলের, সকল মানুষের। আজকে যারা রাজনীতি করছে, সকলের উচিত জাতির জনককে মেনে নিয়ে রাজনীতি করা। তার অবদানকে স্বীকার করেই রাজনীতি করতে হবে।’
বঙ্গবন্ধু প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করেছেন কিন্তু কখনও শত্রুতা করেননি উল্লেখ করেন জিএম কাদের। তিনি বলেন, ‘প্রতিপক্ষের বিপদেও পাশে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু উদারতার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। জাতীয় পার্টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতার মর্যাদা দিতে চেয়েছিল। অপ্রত্যাশিত কিছু কারণে তা করতে পারেনি। কিন্তু জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনকের মর্যাদা দিয়েছে।’
সভায় দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ‘জাতির জনকের প্রশ্নে কোনও বিতর্ক নেই। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে কিংবদন্তী নেতা হয়েছেন। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিবেদিত থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে শাহাদত বরণ করেছেন।’
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা এমপি, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, সাবেক মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আজম খান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন।