‘আ.লীগ-বিএনপি দেশে সংসদীয় স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এমপি বলেছেন, ‘তিন জোটের রুপরেখা অনুযায়ী পল্লীবন্ধু ক্ষমতা হস্তান্তর করার পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংবিধান সংশোধন করে দেশে সংসদীয় স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। রাষ্ট্রের প্রধান তিনটি স্তম্ভের মধ্যে সরকার প্রধানের হাতে নির্বাহী বিভাগ ও আইন সভা আর রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে বিচার বিভাগের ৯৯ ভাগই সরকার প্রধানের হাতে। তাই সরকার প্রধান যা চান, তাই হচ্ছে- এটাকে গণতন্ত্র বলা চলে না। দুর্নীতি ও দলীয় করণের মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র এখন স্বৈরতন্ত্রের পর্যায়ে।‘

শনিবার (২০ মার্চ) বিকালে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের বাসভবনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে মিলাদ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, ‘সংবিধানকে যেভাবে সংশোধন করা হয়েছে তাতে গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয়। সাংবিধানিকভাবে যেভাবে দেশ চলছে তাকে কোনোভাবেই গণতন্ত্র বলা চলে না। সরাকারি দল না করলে এখন আর কেউ চাকরি পায় না, ব্যবসায় করতে পারে না। সরকার দলীয়দের জন্য এক ধরনের আইন আর অন্যদের জন্য আলাদা আইন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি স্পষ্ট বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। অথচ এই বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। স্বাধীনতার আগে পশ্চিম পাকিস্তানিরা বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল, এখন বৈষম্য সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। আমরা মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা এমপি, সাবেক মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি, এস.এম. ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ্, উপদেষ্টা রওশন আরা মান্নান এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব রাহগীর আল মাহি এরশাদ (সাদ এরশাদ)।