‘অর্থপাচারকারীরাই হয়ে যাবেন সেরা করদাতা’

‘টাকা পাচারের দায়মুক্তি দিলে পাচারকারীরা কর দিয়ে সর্বোচ্চ করদাতার পুরস্কার পাবেন। তারাই হয়ে যাবেন সেরা করদাতা।’ রবিবার (১২ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান।

পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বিদেশে টাকা পাচার আটকাতে ব্যর্থ হয়েছেন। পাচার করা টাকা ফেরত আনার সুযোগ থাকলে মানি লন্ডারিং আইনের প্রয়োজন নেই।’

তিনি বলেন, ‘করোনাকালে অনেক মানুষ অর্থনৈতিকভাবে খারাপ অবস্থায় চলে গেছেন। কিন্তু এই অর্থবছরেও অনেকে কোটিপতি হয়েছেন। বিদেশে অর্থপাচারও বেড়েছে। অর্থমন্ত্রী করোনাকালীন মানুষের জীবন রক্ষার যে বাজেট উপস্থাপন করেছেন, সেখানে একদিকে মানুষকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন, অপরদিকে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হওয়া ঠেকাতে পারেননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী এবারের বাজেটে কিছু সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু নিম্নবিত্তদের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেননি। চাকরিচ্যুত, বেকার ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য গত অর্থবছরেও কিছু করতে পারেননি। তাদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করতে হবে।’

২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রস্তাবিত বিধান অনুযায়ী বিদেশে অবস্থিত যেকোনও সম্পদের ওপর কর পরিশোধ করা হলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ যেকোনও কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও প্রশ্ন উত্থাপন করবে না।’ এ বিধানের আওতায় বিদেশে অর্জিত স্থাবর সম্পত্তি দেশে আনা না হলে এর ওপর ১৫ শতাংশ, বিদেশের অস্থাবর সম্পত্তি দেশে আনা না হলে এর ওপর ১০ শতাংশ এবং দেশে পাঠানো নগদ অর্থের ওপর ৭ শতাংশ হারে কর ধার্যের প্রস্তাব করেন তিনি।