গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেখে গণতন্ত্রের হালহকিকত বোঝা যায়: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, ‘যে দেশের গণমাধ্যম যতটা স্বাধীন, সে দেশের গণতন্ত্র ততটাই শক্তিশালী। একটি দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেখে সহজেই বোঝা যায় সে দেশের গণতন্ত্রের হালহকিকত। দেশের গণমাধ্যম স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছে না।’

রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় সাংবাদিক ঐক্য (এনইউজে) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়া আতঙ্কের মাঝে দায়িত্ব পালন করে। কেউ প্রাণ খুলে কথা বলতে পারে না। খবর প্রকাশে নিজেরাই নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ বা সেল্ফ সেন্সরশিপ করতে বাধ্য হচ্ছে। গণমাধ্যম দুর্বল হলেই সমাজে জবাবদিহির ঘাটতি হয়, ফলশ্রুতিতে দুর্নীতি বেড়ে যায়। দেশের গণমাধ্যমকে দুর্বল করে পরোক্ষভাবে দেশকে অনিয়ম ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য বানাতে সহায়তা করা হচ্ছে।’

জি এম কাদের সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) তথ্য উল্লেখ করে বলেন, ‘গেলো দুই বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০৮টি মামলায় ২০৮ জন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন তৈরি হয়েছে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে। এই কালো আইন অবিলম্বে সংশোধন করা জরুরি।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ পিছিয়েছে ৯১ বার। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। ১০ বছর পার হলেও সাগর-রুনি হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমরা চাই সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার হোক।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনইউজে’র সদস্য সচিব মিজান আহমেদ, এনইউজের রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি রেজাউল ইসলাম বাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান শিশির, কেন্দ্রীয় সদস্য একে সালমান, সুমন ইসলাম, আসাদুজ্জামান আফজাল, রিপন মাহমুদ।