সংসদে বিরোধী বেঞ্চের প্রথম আসনটি জিএম কাদেরের

বিরোধীদলীয় নেতার বিষয়টি সুরাহা না হলেও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে সংসদ কক্ষের বিরোধী বেঞ্চের প্রথম সারির প্রথম আসনটিই দেওয়া হচ্ছে। সংসদ সচিবালয় থেকে এরইমধ্যে আসন বিন্যাসের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে দু-একদিনের মধ্যে আসন বিন্যাস চূড়ান্ত করা হবে।

এদিকে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতি চেয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় পার্টি। অবশ্য দলটির চিঠি পেলেও সোমবার (২২ জানুয়ারি) পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি স্পিকারের দফতর থেকে। সংসদ সচিবালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা কে হবেন—তা নির্ধারণের এখতিয়ার স্পিকারের। তবে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়ে দিয়েছেন—দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসবে জাতীয় পার্টি।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে সংসদ সদস্যদের আসন বিন্যাসের খসড়া তালিকা করা হয়েছে। সেখানে অন্যান্য সংসদের আসন বিন্যাসে বিরোধী দলের জন্য যে বেঞ্চগুলো রাখা হয়, সেগুলোতে জাপার এমপিদের রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। সংসদে বিরোধী দলের প্রথম বেঞ্চের প্রথম আসনটি জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের জন্য রাখা হয়েছে। জানা গেছে, জাপার ১১ জন এমপিকে প্রথম সারির পাশাপাশি পেছনের দুটি সারির মধ্যেই সিট দেওয়া হচ্ছে। বিরোধীদলীয় বেঞ্চের সামনের সারিতে দুই-একজন স্বতন্ত্র এমপির নামও আছে। খসড়া আসন বিন্যাস সংসদ সচিবালয় থেকে সংসদ নেতার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তার পরামর্শ অনুযায়ী, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানায় সংসদ সচিবালয়।

বিরোধীদলীয় নেতার প্রশ্নে জানতে চাইলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতি চেয়ে জাতীয় পার্টির একটি চিঠি তিনি পেয়েছেন। তবে এ বিষয়ে তিনি জাপাকে কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি। আইন ও বিধি অনুযায়ী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

সংসদের আসন বিন্যাস বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসন বিন্যাসের একটি খসড়া তালিকা করা হয়েছে। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শক্রমে এটি চূড়ান্ত করা হবে। কোন আসনে কাকে দেওয়া হয়েছে এটা না দেখে বলা সম্ভব হচ্ছে না।’

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৩, জাপা ১১, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে এবং ৬২ আসনে স্বতন্ত্ররা বিজয়ী হয়।

বিরোধী দল নিয়ে সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে কিছু উল্লেখ নেই। তবে বলা আছে বিরোধীদলীয় নেতার বিষয়ে। এতে বলা আছে, ‘বিরোধী দলের নেতা’ অর্থ স্পিকারের বিবেচনা মতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য নিয়ে গঠিত ক্ষেত্রমতো দল বা অধিসঙ্গের নেতা।