‘জামায়াতের অনুসারীরা কওমি সনদের স্বীকৃতি নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে’

কওমি শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের সম্মেলনজামায়াত-শিবিরের অনুসারীরা কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতির বিরুদ্ধে হীন ষড়যন্ত্র করে চলেছে বলে অভিযোগ করেছে কওমি শিক্ষা সনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদ। সংগঠনটির সদস্য সচিব মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, আল্লামা আহমদ শফীর নামের ছদ্মাবরণে বেফাকের নাম ভাঙিয়ে কওমি সনদের স্বীকৃতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। রবিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

কওমি শিক্ষা সনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদ বেশ কিছু কর্মসূচিও ঘোষণা করে। এরমধ্যে রয়েছে,  জনমত তৈরির জন্য মাদ্রসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ, সেমিনার ও  মহাসমাবেশ, রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীলদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি।

কওমি শিক্ষা সনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, টানা আঠারো দিন সারাদেশে সফর করেছি,  সবাই স্বীকৃতি চান। রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী চক্র ও মওদুদী মতবাদীরা কখনোই কওমি মাদ্রাসার কোনও উন্নতি চায় না। স্বীকৃতির বিষয়ে কোন্ দল ক্ষমতায় আছে, তা বিবেচ্য নয়। এখন বিরোধিতার জন্যই কেবল কেউ কেউ বিরোধিতা করছে।

মাওলানা মাহমুদ কওমি মাদ্রসারা স্বকীয়তা বজায় রেখে দারুল উলুম দেওবন্দের আট মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে স্বীকৃত দিতে কিছু দাবি উপস্থাপন করেন। দাবি ‍গুলো হলো, এক. কওমি মাদ্রসারা নেসাব ও নেযামে তালিমে কোনও রূপ হস্তক্ষেপ করা চলবে না। দুই. আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের আকিদা সম্পূর্ণভাবে অক্ষু্ণ্ন রাখতে হবে। তিন. মাদ্রসা পরিচালনা পদ্ধতিতে হস্তক্ষেপ করা চলবে না। চার. কওমি মাদ্রসা কখনও এমপিওভুক্ত হবে না। পাঁচ. কোনও মাদ্রসা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকার কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। ছয়. প্রচলিত কওমি মাদ্রাসা বোর্ডগুলো তাদের স্ব-স্ব বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে। সাত. ২০১৬ সালের ভেতরই স্বীকৃতিদান কার্যক্রম সুসম্পন্ন করতে হবে।

মুফতি আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে ও মাওলানা মাসউদুল কাদিরের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইফী, মুফতি ইবরাহিম শিলাস্তানী, মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন, মাওলানা আইয়ুব আনসারী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ গুলজার, মাওলানা আতাউর রহমান আরিফী, মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব প্রমুখ।

/সিএ/এমএনএইচ/