অভিজ্ঞতার আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করবেন ড. কামাল





গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনদীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আলোকে বাংলাদেশের নির্বাচনকেন্দ্রিক সংকট দূর করতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে অনুরোধ জানাবেন গণফোরাম সভাপতি সংবিধান বিশেষজ্ঞ প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তিনি জানেন নিরপেক্ষ নির্বাচন কিভাবে হয়, এর জন্য কী কী প্রয়োজন হয়? ফলে তাকে অনুরোধ করব, তিনি যেন নিজের অবস্থান থেকে উদ্যোগ নেন।’ শনিবার সন্ধ্যায় বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রবিবার বিকাল ৪টায় নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেবে ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরাম।
সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার বিষয়টি উদ্ধৃত করে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘তিনি রাষ্ট্রের প্রধান নাগরিক। সর্বোচ্চ মানুষ। সংসারে বাবার ভূমিকা কী হবে, এটি লিখিত না থাকলেও বাবা ভূমিকা রাখেন। তিনি অবশ্যই এ ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন, দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অবশ্যই সামনে থাকবেন রাষ্ট্রপতি।’
গণফোরাম সূত্র জানায়, সংলাপে রাষ্ট্রপতির কাছে দলটি মূলত নির্বাচন কমিশন গঠনের ওপরেই আলোচনা করবেন। এ ক্ষেত্রে ইসি গঠনে আইন করার ব্যাপারে সুপারিশ করবে গণফোরাম। পাশাপাশি নির্বাচনকালীন সরকার যেন নিরপেক্ষ হয়, এ নিয়েও আলোচনা তুলবেন ড. কামাল হোসেন। গণফোরাম একটি লিখিত প্রস্তাব রাষ্ট্রপতিকে দেবে। এতে আইনের ব্যাপারগুলো নিয়ে ড. কামাল নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছেন বলেও সূত্রটি জানায়।
জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘কিভাবে শক্তিশালী ইসি গঠন করা যায়, এটি গঠনে কিভাবে সমাধানে পৌঁছানো যায়, এ নিয়ে আলোচনা করব।’
ড. কামাল জোর দেন নিরপেক্ষ ইসির ওপর। তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ অ্যাম্পায়ার ছাড়া যেমন খেলা হয় না, তেমনি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়াও নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না।’
তবে গণফোরাম কত দফা দাবি বা সুপারিশ করবে, এ নিয়ে তিনি রবিবারই কথা বলবেন বলে জানালেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু হয় বঙ্গভবনে। রবিবার ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল গণতন্ত্রী পার্টিও সংলাপে অংশ নেবে বলে জানানো হয়েছে।
/এসটিএস/এমএনএইচ/