‘ঘুষের জালে দূষিত হয়ে পড়ছে রাষ্ট্র-সমাজ’

বক্তব্য রাখছেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমবাজারজাতকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণের সঙ্গে ঘুষ-দুর্নীতির জাল সম্পৃক্ত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। এর মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজকে ঘুষের জালে দূষিত করে ফেলা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, ‘চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরও ভয়ঙ্কর দিকে নিয়ে যাচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ।’

বর্তমান সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার সঙ্গে পাকিস্তান আমলের তুলনা করেছেন সিপিবি সভাপতি। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) ‘ঘুষ ছাড়া চাকরি চাই’সহ ৭ দফা দাবিতে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের উদ্যোগে জাতীয় যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা-শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। এটি সংবিধানে রচিত অধিকার। এ অধিকার রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। ঘুষ ছাড়া চাকরি পাওয়াও একটি মৌলিক অধিকার। ৩০ লাখ রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধে এ অধিকার লাভ করেছি আমরা।’

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আরও বলেন, ‘এ অধিকার রক্ষার লড়াই ৩০ লাখ শহীদের মর্যাদা রক্ষার লড়াই। এখানে কেউ ভিক্ষা চাইতে আসেনি। যুবকরা কাজ করতে চায়, ন্যায্য মজুরি চায়। আমাদের যুবকরা দেশকে এগিয়ে নিতে চায়। কিন্তু শোষকশ্রেণির দল, যারা লুটপাটের সঙ্গে জড়িত, তারা চায় না দেশ এগিয়ে যাক। আমাদের মধ্যে ঘুষ-দুর্নীতি একটা রোগ। এ রোগ ছড়িয়ে পড়ছে লুটপাটের রোগে।’

বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুজন-এর সম্পাদক ডক্টর বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, “ষাটের দশকে আমরা একটা স্লোগান দিতাম, ‘বাঁচার মতো বাঁচতে চাই’। এ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ অর্জিত হয়েছে। কিন্তু এখন স্লোগান হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘ঘুষ ছাড়া চাকরি চাই’।”

সুজন-এর সম্পাদক আরও বলেন, ‘সমতা ও সমধিকার আমাদের মৌলিক অধিকার। আইনের মাধ্যমে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অতীতেও দেখেছি এ আইনকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। বর্তমানেও এ আইনকে পাশ কাটিয়ে যায় হচ্ছে।’

/এসটিএস/জেএইচ/