নির্বাচনে ঢালাওভাবে সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে ইসলামী ঐক্যজোট

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢালাওভাবে সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে মত দিয়ে ইসলামী ঐক্যজোট। মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে দলটি এ মত দেয়। সংলাপে দলটির পক্ষ থেকে ১২ দফা লিখিত প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

সংলাপের পর বিফ্রিংয়ে পার্টির চেয়ারম্যান মুফতি আবদুল লতিফ নিজামীবিকালে পার্টির চেয়ারম্যান মুফতি আবদুল লতিফ নিজামীর নেতৃত্বে ইসলামী ঐক্যজোটের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন। এতে নির্বাচনে ঢালাওভাবে সেনা মোতায়েনের বিরোধিতা করা হয়। তবে, তারা স্পর্শকাতর এলাকায় সেনা মোতায়েন করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন।

দলটির অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, কালো টাকা বন্ধ করা, তফসিল ঘোষণার পর সরকারের রুটিনওয়ার্ক পরিচালনা, নির্বাচনি মামলা ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি, নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে সকল দলের জন অভিন্ন পোস্টারের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।

এ নিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৮টি দলের সঙ্গে মতবিনিময়ে বসলো নির্বাচন কমিশন। আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সঙ্গে বৈঠক করবে ইসি। এছাড়া আগামী ১২ অক্টোবর বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি এবং গণতন্ত্রী পার্টি, ১৫ অক্টোবর বিএনপি, ১৬ অক্টোবর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং সাম্যবাদী দল (এমএল), ১৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ, ১৯ অক্টোবর জাতীয় পার্টি (জেপি) এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)’র সঙ্গে ইসি’র মতবিনিময়ের কথা রয়েছে। এছাড়া ২২ অক্টোবর পর্যবেক্ষক সংস্থা, ২৩ অক্টোবর নারী নেত্রী ও ২৪ অক্টোবর নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কমিশনের মতবিনিময়ের কথা রয়েছে।

ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, গত ৩১ জুলাই নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি। এরপর ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।