নিবন্ধন পেতে আইনের আশ্রয় নেবে গণসংহতি আন্দোলন

গণসংহতিনির্বাচন কমিশন নতুন রাজনৈতিক চিন্তা ও দল গড়ার পথে ‘প্রতিবন্ধকের ভূমিকা’ পালন করছে বলে অভিযোগ করেছে গণসংহতি আন্দোলন। এ কারণে দলটি নিবন্ধনের জন্য আইনের আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে দলের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘কমিশনের দেওয়া সব শর্ত পূরণ করেই গণসংহতি আন্দোলন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। গণমাধ্যম থেকে আমরা জানতে পেরেছি নির্বাচন কমিশন গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধনের উপযুক্ত বলে মনে করেনি। অথচ এর আগে ৮ এপ্রিল গণসংহতি আন্দোলনকে চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশন অঙ্গ-সংগঠন না থাকার ঘোষণা এবং প্রার্থী মনোনয়নের প্রক্রিয়া বিষয়ে গঠনতন্ত্রে সংশোধনীর জন্য বলেছিল। সেটি যথাসময়ে সংশোধন করে জমাও দেওয়া হয়।’

দলের প্রধান সম্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানা গেলে গণসংহতি আন্দোলন সংবিধানে বর্ণিত মৌলক অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনে আইনেরও দ্বারস্থ হবে। আরপিও সংবিধানের সাথেও সাংঘর্ষিক। এই আরপিও বজায় থাকলে নতুন চিন্তা-চর্চা, সৃজনশীল উদ্যোগ ও সমাজে-রাষ্ট্রে রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে ওঠার সব প্রক্রিয়া প্রতিনিয়ত বন্ধ হয়ে যাবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২৭ জুন গোলটেবিল বৈঠক, ৩০ জুন জেলায়-জেলায় সংবাদ সম্মেলন ও আগামী ৫ জুলাই পুনঃনিরীক্ষার দাবিতে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।