পুলিশের বাধায় পণ্ড ইসলামী আন্দোলনের মিছিল

ইসলামী আন্দোলনের মিছিলপুলিশের বাধায় পণ্ড হয়েছে ইসলামী আন্দোলনের ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে মিছিল। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা পৌনে ১২টার দিকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে দলটির আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। পল্টন মোড়ে হয়ে মিছিলটি এগুতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। তবে কোনও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেনি।
ভারতীয় সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর জুলুম-নির্যাতন, খুন-ধর্ষণ ও গরু জবাইসহ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে এ  গণমিছিলের আয়োজন করে। 

ইসলামী আন্দোলনের মিছিলের পুলিশের বাধাসকাল ৯টা থেকেই ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জড়ো হতে থাকেন। সকাল ১০টার দিকে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলটির নেতাকর্মীরা। 
সমাবেশে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ভারতসহ বিশ্বের দেশে দেশে মুসলিম নিধন চলছে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চলছে। এদের এই ষড়যন্ত্র মুসলমানদের নস্যাৎ করে দিতে হবে।

ইসলামী আন্দোলনের মিছিলের পুলিশের বাধাতিনি বলেন, ভারত ধর্মনিরপেক্ষতার স্লোগান দিলেও মুসলমানদের ধর্মকর্ম পালন করতে দিচ্ছে না। ভারতের মুসলমানরা স্বাধীনভাবে চলতে পারছে না, তাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। মুসলিম মা-বোনদের ধর্ষণ করছে। তাদের ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধোঁকাবাজির মুখোশ উম্মোচন হয়েছে। ভারতের এই ধোঁকাবাজির বিরুদ্ধে ওআইসি ও জাতিসংঘ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এজন্যই মুসলিম জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করা মুসলিমদেশগুলোর জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। 
তিনি আরও বলেন, প্রিয়া সাহা বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু নির্যাতিত হয়েছে বলে মিথ্যা নালিশ দিয়ে দেশদ্রোহীর কাজ করেছে। ইসলাম, দেশ ও মানবতার বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। এগুলোকে সম্মিলিতভাবে নস্যাৎ করে দিতে হবে।

ইসলামী আন্দোলনের মিছিলের পুলিশের বাধামিছিল শেষে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদানের জন্য যায়। তবে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের না পেয়ে স্মারকলিপি প্রদান না করেই ফেরত আসে প্রতিনিধি দল।