প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে নেতৃত্ব সংকটের অভিযোগ এনে বিএনপি পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেন কামরুল হাসান নাসিম ও তার সহযোগীরা। গণমাধ্যমে তার এই উদ্যোগ ‘আসল বিএনপি’ হিসেবে পরিচিতি পেলেও তিনি জানান, তার এই উদ্যোগ আবারও শুরু হবে। এদিকে, ‘‘আসল বিএনপি’ ২০১৫ ও ১৬ সালে কয়েকটি কর্মসূচি পালন করে। বিএনপির পক্ষ থেকে বরাবরই তার উদ্যোগের নেপথ্যে ‘সরকারের সহযোগিতা রয়েছে’ অভিযোগ করা হয়েছে।’’
নাসিম বলেন, ‘বিএনপির চলমান সংকট দীর্ঘায়িত হলে দেশের রাজনীতির জন্য খারাপ হবে। সেক্ষেত্রে নতুন করে আগামী কাউন্সিলকে সামনে রেখে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির ৫টি অসুখ সারাতে হবে। দল চলবে গণতান্ত্রিক পন্থায়। কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সবাইকে রেখেই দলের মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবে দীর্ঘদিন ধরে দুষ্ট মা-পুত্রের ক্ষমতায় যে দল পরিচালিত হয়ে আসছে, তা থেকে বের হতে হবে। তাদের মধ্যে যদি কখনও আত্মশুদ্ধির পর্যায় ধরা দেয় কিংবা দেশকে নিয়ে উন্নত চিন্তা করার মধ্য দিয়ে তারা রাজনীতিতে ফিরতে পারেন, তবে তারাও ভবিষ্যতে শীর্ষ নেতৃত্বে চলে আসতে পারবেন।’
কামরুল হাসান অভিযোগ করেন, মির্জা ফখরুলদের শারীরিক ভাষার মধ্যে শীর্ষ নেতৃত্ব দেওয়ার যথার্থ দিক খুঁজে পাওয়া যায় না। তারা চাকরি করতে পছন্দ করেন।’ ফখরুল বিশেষ ব্যক্তির আদেশ পালন করছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।