করোনা প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগ ও বাস্তবতার অমিলে গণসংহতির উদ্বেগ

গণসংহতি আন্দোলন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের গৃহীত উদ্যোগের সঙ্গে বাস্তবতার অমিল পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন। সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, দেশের সব হাসপাতালে ডাক্তার-নার্স-ওয়ার্ডবয়দের জন্য এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সরবরাহ করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় দলের দফতর বিষয়ক উপকমিটির সদস্য বাচ্চু ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণসংহতির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও  নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল এ অভিযোগ করেন।

তারা বলেন, ‘এই দুর্যোগে ডাক্তাররা আমাদের সামনের সারির যোদ্ধা, তাদেরকে সুরক্ষিত করতে না পারলে আমরা এই যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারবো না। সরকার তাদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই সরবরাহ না করে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর নির্দেশনা-আপত্তিকর হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক তার প্রতিষ্ঠানের ডাক্তারদের নিজ দায়িত্বে পিপিই সংগ্রহ করার নির্দেশনা দেওয়ার কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সরকারের এসব কর্মকাণ্ড মানুষের মধ্যে আরও আতঙ্ক সৃষ্টি করবে।

নেতারা অবিলম্বে ডাক্তারদের সুরক্ষার বিষয়টাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তাদের জন্য পিপিই সরবরাহ করার জোর দাবি জানান, যাতে করে তারা নির্ভয়ে রোগীদের সেবা দিতে পারে।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘সরকার দেরিতে হলেও সারাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে। কিন্তু আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জনগণের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অমর্যাদাকর আচরণের খবর পাচ্ছি, যা দুর্যোগ মোকাবিলায় মোটেও ইতিবাচক নয়। জনগণ আইন অমান্য করলে তার জন্য যথাযথ আইনানুগ শাস্তি না দিয়ে ‘শারীরিক প্রহার’, ‘কান ধরে ওঠবস’ করানো হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশে জনগণের সঙ্গে এধরনের ঔপনিবেশিক ও মর্যাদাহানিকর আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়।

‘নিন্দা’ জানিয়ে নেতারা বলেন, দুর্যোগের সময়ে যখন সকলের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সঠিক তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করে সকলের মধ্যে সংহতি সৃষ্টি করা প্রয়োজন, তখন আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করলাম- করোনা বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার কারণে দুইজন সরকারি শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে অবিলম্বে ওই দুই শিক্ষককে সসম্মানে পুনর্বহাল করার দাবি জানান তারা।