মঙ্গলবার (৫ মে) এক বিবৃতিতে নূর হোসাইন কাসেমী এসব কথা বলেন। তিনি একই সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির এবং বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব।
কাসেমী বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে বাংলাদেশের আগামীর সুন্দর ইতিহাস বিনির্মাণ হবে না। শাপলা চত্বরের খুনের গভীর এই ক্ষত সঠিক বিচারের মাধ্যমে নিরাময় করেই জাতিকে অগ্রসর হতে হবে। শাপলা চত্বরের ৫ মে’র সমাবেশ হেফাজত আমির শাহ আহমদ শফীর বক্তব্য ও দোয়ার মাধ্যমে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু সেদিন সমাবেশে আসতে থাকা জনস্রোতের ওপর ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে বর্বর হামলা এবং জায়গায় জায়গায় সড়কের গাছ কেটে ও অগ্নিসংযোগ করে পরিকল্পিত এক অরাজকতা শুরু করে ষড়যন্ত্রকারীরা। এতে সমাবেশ চলাকালীনই বহু সংখ্যক হেফাজত নেতাকর্মী হতাহত হন এবং সমাবেশস্থলে অসংখ্য আহত ব্যক্তি ছাড়াও ৪টি লাশ চলে আসে। হেফাজতের আকুতি সেদিন শোনা হয়নি। মধ্যরাতে শাপলা চত্বরে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে লাখ লাখ অভুক্ত ও ভীতসন্ত্রস্ত হেফাজত কর্মীর ওপর রাষ্ট্রীয় বাহিনী ইতিহাসের ঘৃণ্য ও নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড চালায়। ইতিহাস থেকে এই কালো অধ্যায় কখনও মোছা যাবে না।