‘আইন করলেই হবে না, যথাযথ প্রয়োগ প্রয়োজন’

IMG_9885‘ধর্ষণ-নির্যাতন বন্ধে শুধু আইন করলেই হবে না আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে।’ শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকারম প্রাঙ্গণে ধর্ষণ ও ব্যভিচার প্রতিরোধে সমমনা ইসলামি দলসমূহ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ধর্মীয় দলের নেতারা এই মন্তব্য করেন।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, ‘ধর্ষণ-নির্যাতন বন্ধে শুধু আইন করলেই হবে না আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। জেনা, ব্যভিচার, ধর্ষণের উৎস চিহ্নিত করে তা বন্ধ করতে হবে। ধর্ষণের উৎস পশ্চিমা নগ্নতা, বেহায়াপনা বন্ধ না হলে ধর্ষণ বন্ধ হবে না। পশ্চিমা সংষ্কৃতির কারণে সমাজ থেকে লজ্জা, শরম উঠে যাচ্ছে। অপসংস্কৃতিক আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। আমাদের শিক্ষা নীতি ও পাঠ্যসূচিকে কুরআন সুন্নাহর আলোকে সাজাতে হবে।’

ইসলামি ঐক্য আন্দোলনের আমির ড. মোহাম্মদ ঈশা সাহেদী বলেন, ‘সারাদেশে যখন জেনা-ব্যভিচারের উৎসব চলছিল সরকার তখন নিরব ছিল। কিন্তু সারাদেশে মানুষ ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলো তখন ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আইন করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে জেনা-ব্যভিচার সম্পর্কে কোনও কথা বলা হয়নি। যদিও কুরআনে জেনা-ব্যভিচারের কঠিন শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের আইনে জনগণ সন্তুষ্ট নয়। জেনা-ব্যভিচার, ধর্ষণ বন্ধে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন করতে হবে।’

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনভাইরাসের মতো সারাদেশে ধর্ষণের মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। ধর্ষণ বন্ধে শুধু মৃত্যুদণ্ডের আইন করলেই হবে না, তার সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। বিচার দ্রুত করতে হবে। পর্নগ্রাফি, মাদকদ্রব্যের সয়লাব বন্ধ করতে হবে।’

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মজিবুর রহমান হামিদী বলেন, ‘ময়মনসিংহে নারীর যে অশ্লীল মূর্তি স্থপান করা হয়েছে অবিলম্বে তা সরিয়ে নিতে হবে। তা না হলে ময়মনসিংহের অভিমুখে লংমার্চ করা হবে।’