‘সরকারের প্রতি মানুষের একবিন্দু বিশ্বাস নেই’

শিক্ষাঙ্গন থেকে সংসদ সবখানে লুটপাট চলছে বলে মনে করে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা। তারা বলেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রতি মানুষের আর একবিন্দু বিশ্বাস নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জনগণের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, কিন্তু তাদের সদস্যদের নামে মাদক, হত্যা, চাঁদাবাজি, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা হচ্ছে। ফলে এদের  প্রতিও মানুষের ভরসা নেই। কোনও প্রতিষ্ঠানই বিনা হয়রানিতে জনসেবা নিশ্চিত করতে পারছে না।’

সংগঠনটির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ছাত্র সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা পলিটেকনিক কলেজগুলোর চলমান সংকট নিরসনের জন্য শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তারা বলেন, ‘পরিবর্তনকামী ছাত্র, শিল্পী, কার্টুনিস্ট, লেখক, রাজনৈতিক সংগঠকদের নামে নিবর্তনমূলক আইনে মামলা দিয়ে দমন-পীড়ন করছে সরকার।’ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের নামে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান তারা।

প্রধান বক্তা হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ও গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু বলেন, ‘লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিল স্বাধীনতা, মুক্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরে উপনীত হলেও জনমানুষের সেই আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হয়নি, সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়েছে। প্রতিদিনকার জীবনের যে বঞ্চনা সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় আমরা একটা চরম ফ্যাসিবাদী শাসনের মধ্যে আছি। আমাদের সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে এই স্বৈরাচারী শাসনের বিপরীতে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একটি নিরাপদ, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য ছাত্র-তরুণদেরই লড়াকু ভূমিকা পালন করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমরা বলি, শত ফুল ফুটতে দাও; সরকার বলে, সব অধিকার কেড়ে নাও! সব কুঁড়ি ছেটে দাও! আমরা বলি, কথা চলবে, কলম চলবে; সরকার ডিজিটিাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করে।’