ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতির ওপর হামলা: সিপিবির তদন্ত কমিটি

ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মো. ফয়েজউল্লাহর ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সিপিবির দলীয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এই হামলার ঘটনা তদন্ত করে কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন সভাপতি ফয়েজউল্লাহ শুক্রবার বিকালে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, গত ৪ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে পল্টন মোড়ের কাছে মরণচাঁদ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের পাশে সিপিবির নেতা জলি তালুকদার ও ঢাকা কমিটির নেতা হযরত আলী তাকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন।

ফয়েজউল্লাহ বলেন, ‘একটি বিবৃতি দেওয়াকে কেন্দ্র করে আমার ওপরে হামলা চালানো হয়েছে। আমার কলার চেপে ধরে মারা হয়েছে। শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। নোংরা কথা বলা হয়েছে, গালি দিয়েছে তারা।’

ফয়েজউল্লাহ জানান, তাকে মারপিটের ঘটনায় ৪ এপ্রিল রাতেই পল্টন থানায় জিডি করেছেন তিনি।

সিপিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রেসিডিয়ামের এক সভায় তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রেসিডিয়াম সভায় রিপোর্ট পেশ করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম।

বিষয়টি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে জলি তালুকদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রথমত, ঘটনাটি মিথ্যে। আর দলীয়ভাবে যেহেতু তদন্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমি দলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত। তবে কিছু পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের ওপর ভিত্তি করে যে মকট্রায়াল হচ্ছে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

সিপিবির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ফয়েজউল্লাহর ওপর হামলার ঘটনার যথার্থ তদন্তের সুবিধার্থে জলি তালুকদারের পার্টি সদস্য পদ  সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে পার্টি এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এছাড়া, ৪ এপ্রিলের অপর একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পার্টির শান্তিনগর শাখার সম্পাদক মঞ্জুর মঈনের পার্টির সদস্য পদ ২ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

সিপিবি জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে পার্টির নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে সভা থেকে পার্টির সদস্যদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পার্টির নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রেসিডিয়ামের এই সভায়।

এছাড়া, সভা থেকে ছাত্র গণসংগঠন বিষয়ে পার্টির রোডম্যাপ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (পহেলা বৈশাখ) বাস্তবায়নের জন্য ছাত্র গণসংগঠনে কর্মরতদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:

‘এরপর আর কোনও আন্দোলন-সংগ্রাম করতে পারিনি’