সংগ্রামই আবদুস সালামকে বাঁচিয়ে রাখবে: জোনায়েদ সাকি

সংগঠনের প্রথম নির্বাহী সমন্বয়কারী ও রাজনীতিক আবদুস সালামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, এই সময়ে আবদুস সালামকে ভীষণ প্রয়োজন ছিল। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর নিয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ঐক্য তৈরির চেষ্টা করেছেন।  রাজনৈতিক সংকীর্ণতামুক্ত ও বিশাল হৃদয়ের লড়াকু মানুষ ছিলেন তিনি।

বুধবার (২৬ মে) রাজধানীর হাতিরপুলে দলীয় কার্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন সাকি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘তিনি শুধু নেতাই ছিলেন না, তিনি আমাদের অভিভাবকও ছিলেন। আমাদের সংগ্রামের মধ্যদিয়েই সালাম ভাই বেঁচে থাকবেন। আজকের দিনে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমান রাজনৈতিক সংকটকালে প্রতি মুহূর্তে জননেতা আবদুস সালামের শূন্যতা অনুভব করি। তিনি আজীবন মানুষের মুক্তির লড়াই করে গেছেন। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য সংবিধান সংস্কারের প্রশ্নটি তিনি সামনে তুলে ধরেছিলেন। দেশের মানুষের মুক্তির জন্য তিনি বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলে যুক্ত থেকেছেন, দল গড়েছেন এমনকি প্রয়োজনে দল ছেড়েছেনও।’

এছাড়া শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন— বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, মওলানা ভাসানী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য জুলফিকার আলী, বাসদ মার্কসবাদীর কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা বিধান দাস, বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার্স সমিতির সভাপতি বাচ্চু ভূইয়া, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভা প্রধান শ্রমিক নেতা তাসলিমা আখ্তার, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সূজন, নারী সংহতির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিতা চন্দ, ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (টাফ) এর সহ-সাধারণ সম্পাদক আলিফ দেওয়ান, গণসংহতি আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য আরিফুল ইসলাম, প্রবীর সাহা প্রমুখ।