শ্রমিকরা কি উড়ে আসবে, প্রশ্ন ন্যাপের

কঠোর লকডাউন চলাকালে যখন গণপরিবহন বন্ধ, শ্রমিকরা যখন গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছে ঠিক তখন ১ আগস্ট থেকে গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়া সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্ত ছাড়া অন্য কিছুই নয়, বলে মনে করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। 

দলটির প্রশ্ন, চাকরি করা শ্রমিকরা এখন গ্রামের বাড়ি। ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ থাকলে তারা কি উড়ে আসবে?

শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা বলেন দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।  

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাতে গণমাধ্যমে সরকারের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, কারখানার আশপাশের শ্রমিকদের দিয়ে কারখানা খোলা হবে। আর যারা লকডাউনে আটকা পড়েছেন, লকডাউন শেষে তাদের কাজে যোগদানে কোনও সমস্যা সৃষ্টি হবে না।  

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ জানায়, গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার পর আর লকডাউন জারি রাখার কোনও অর্থ নেই।

জেবেল রহমান ও গোলাম মোস্তাফা বলেন, ‘সরকারের উচিত লকডাউন তুলে দিয়ে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে প্রয়োজনে কঠোর হওয়া।’

তাদের দাবি, ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তত ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা দরকার। ছাত্র-ছাত্রীদের টিকা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া এবং সব গার্মেন্টস ও শিল্প-কারখানা কর্মীকেও টিকা দেওয়া নিশ্চিত করা।