বিচারপতিদের সম্পদের হিসাব চাইলেন ডা. জাফরুল্লাহ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রত্যেকটা বিচারপতির সম্পদের হিসাব চাই আমরা। আমাদের পরিবর্তন দরকার। বিচার বিভাগ ঠিক না হলে সুশাসন আসবে না।’

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে 'রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে পেশাজীবীদের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা সভা ও বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে দায়ী করে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্র হত্যার জন্য তার প্রকাশ্যে বিচার হওয়া উচিত। একজন মানুষ খুন করলে তার ফাঁসি হয়, যাবজ্জীবন হয়। কেউ গণতন্ত্র হত্যা করলে, গণতন্ত্রকে কবরস্থ করলে তার কী শাস্তি হওয়া উচিত? সেই ব্যক্তি বিচারপতি খায়রুল হক। প্রকাশ্যে তার বিচার হওয়া উচিত।‘

তিনি আরও বলেন, খায়রুল হক জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। তাকে আজীবন জেলখানায় দেখতে চাই। এখান থেকে দেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে। বর্তমান প্রধান বিচারপতিরও বিচার হওয়া দরকার।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দুইদিন আগে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর জন্মবার্ষিকী ছিল। আমরা এতটা নিমকহারাম যে একটা বড় দলও তার জন্মবার্ষিকী পালন করেনি। এমনকি মুক্তিযোদ্ধারাও। এখনো কয়েক শ’ সিনিয়র মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে আছেন, তারাও করেন নাই। এতে প্রমাণ করে আমাদের অনেকদূর এগিয়ে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আরেকজন সিনিয়র মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ অসুস্থ হয়েছেন। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন। উনি যেনো সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন।’

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হোক নূর বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম একটি কলঙ্কিত নির্বাচন কমিশনার হচ্ছে বর্তমান নুরুল হুদা কমিশনার। যারা একটা জাতিকে ধ্বংস করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করেছে। সে কারণে ২০১৪ সাল থেকে একটা বিনা ভোটের নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে যাত্রা শুরু করেছে। এখনও দিন দিন সে দিকেই যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা গণআন্দোলন গড়ে তুলতে পারিনি।’ 

পেশাজীবী অধিকার পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বেলালীর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.আসিফ নজরুল, ডাকসু'র সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ।