ডোপ টেস্টের নামে হয়রানির অভিযোগ ছাত্র ইউনিয়নের

সম্প্রতি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোনও প্রকার আগাম ঘোষণা ও প্রস্তুতি ব্যতীত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট তাদের জন্য হয়রানি এবং আর্থিক ক্ষতির কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (বিদ্রোহী অংশ)।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ছাত্র ইউনিয়ন বিদ্রোহী অংশের দফতর সম্পাদক রাকিবুল রনি স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এই অভিযোগ করে সংগঠনটি।

অভিযোগ বার্তায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (বিদ্রোহী অংশের) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম বলেন, আগাম ঘোষণা ও পূর্বপ্রস্তুতিহীন এই সিদ্ধান্ত মাদকের ভয়াবহতা রোধে কার্যকরী কোনও উদ্যোগ নয় বলে আমরা মনে করি। করোনা মহামারির সময় দেশের মানুষের আর্থিক অবস্থা এমনিতেই নিম্নগামী। এই পরিস্থিতিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার মধ্য দিয়ে পুনরায় শিক্ষার্থীদের পকেট কাটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডোপ টেস্টের সুব্যবস্থা নেই। ফলে বিপাকে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া ডোপ টেস্টের নামে বিভিন্ন স্থানে অসাধু চক্র শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের ওপর ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ রূপে আবির্ভূত হয়েছে। টেস্টের খরচ বাবদ প্রতিজন শিক্ষার্থীর খরচ পড়ছে ৯০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, প্রায় প্রতিটি ক্যাম্পাসে মাদক বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত মূলত ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ডোপ টেস্টের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে মূলত শিক্ষার্থীদের মোরাল পুলিশিং’র ব্যবস্থা করেছে। যদি ডোপ টেস্ট করতেই হয়, তাহলে তা সম্পূর্ণ সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিনামূল্যে করার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারকে এই হয়রানিমূলক সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।