করোনায় শ্রমজীবী নারীরা প্রণোদনা পায়নি: মেনন

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা সৃষ্টি হলেও বাতির নিচে অন্ধকারের মতই আজও পুরুষতান্ত্রিকতার জাঁতাকলে নারীরা পিষ্ট ও পদদলিত। করোনাকালে কর্মজীবী নারীদের বেকারত্ব, অনেক শ্রমজীবী, গার্মেন্টস নারীরা ন্যূনতম প্রণোদনা পাননি।’

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদ আয়োজিত ‘নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য বন্ধ ও করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের দাবিতে’ অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় মেনন এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা যে নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতার কথা বলি এ লড়াই নারীর একার নয়। এটি নারী-পুরুষের সর্বজনীন লড়াই।’

নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি নারীনেত্রী হাজেরা সুলতানার সভাপতিত্বে রাজধানীর তোপখানা রোডের ওয়ার্কার্স পার্টির অফিস চত্বরে অনুষ্ঠিত সভায় মেনন আরও বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য রোধ করতে দৃষ্টিভঙ্গিগত পরিবর্তন ও মাঠের লড়াইকে যুগপৎ এগিয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া নারীর সামগ্রিক মুক্তি অর্জন সম্ভব নয়।’

মেনন অভিযোগ করেন, করোনাকালীন মহামারিতে কর্মসংস্থান না থাকায়, সবাইকে ঘরে থাকার বাধ্যবাধকতায় এই সহিংসতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাল্যবিবাহ রোধে আইন থাকার পরও এটা বেড়েছে।

‘আমাদের দেশেও ঐ ধর্মান্ধ গোষ্ঠী, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীকে বর্বরোচিত ও রুচিহীনভাবে ‘ট্রল’ করা হয়’- উল্লেখ করেন মেনন। তিনি বলেন, ‘এরা তালেবানদেরই দোসর। এরা নারীকে পদদলিত, কোণঠাসা করে রাখতে চায়।’

সভাপতির বক্তব্যে নারী নেত্রী হাজেরা খাতুন বলেন, সাম্প্রতিক লকডাউন ও বিশ্ব পরিস্থিতিতে নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এহেন পরিস্থিতির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এহেন সহিংসতা ও বৈষম্য রোধে আমরা দেশব্যাপী আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলব।

নারী মুক্তি সংসদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিউলী শিকদারের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাড. জোবায়দা পারভীন, অ্যাড. সুরাইয়া বেগম, মোস্তফা আলমগীর রতন, শাহানা ফেরদৌসী লাকী, ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি কাজী আবদুল মোতালেব জুয়েল, রাজিয়া সুলতানা প্রমুখ।