মন্দির, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় বিপিপি’র নিন্দা

দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ (বিপিপি)। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিপিপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নূরুজ্জামান এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দেন। এসব ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি তুলেছে সংগঠনটি।

বিপিপি নেতারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনকালীন একটি কুচক্রীমহল ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ, মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে। সবশেষ তাদের পরিকল্পনায় রংপুর জেলার পীরগঞ্জের মাঝিপাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কারণে ১৮টি পরিবার এখন নিঃস্ব। এসব রাষ্ট্রবিরোধী ঘৃণ্য কাজের তীব্র নিন্দা ও জোরালো প্রতিবাদ জানাই আমরা।’

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রকৌশলীদের বক্তব্য, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, অসাম্প্রদায়িক গণআন্দোলনের মহান নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক নীতির সুবাদেই মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জিত হয়েছিল। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। দেশরত্ন জননেত্রীর নেতৃত্বে দেশ যখন সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই কিছু ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী শক্তির পৃষ্ঠপোষক, বিএনপি-জামায়াতের অশুভ জোট পরিকল্পিতভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চাচ্ছে।’

সংগঠনটির মন্তব্য, ‘বাংলাদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মভীরু, কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও অপপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করা জরুরি। সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে জড়িত প্রতিক্রিয়াশীল ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।