মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে আমরা রাজপথে নেমেছি: নুর

গণ-অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আমাদের ওপর হামলা-মামলা করে থামিয়ে দিতে পারবেন না। আমরা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে রাজপথে নেমেছি। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজনে জীবন দেবো।’ শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি এসব কথা বলেন। নিরাপদ সড়ক, শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া পাস ও জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে এর আয়োজন করে গণ-অধিকার পরিষদ।

নুরের দাবি, ‘ঢাকা থেকে শুরু করে সারা দেশে ছাত্রদের হাফ ভাড়া কার্যকর করতে হবে, তেলের বর্ধিত দাম কমাতে হবে। ছাত্র আন্দোলনের একজন নেতাকর্মীকেও হয়রানি করা যাবে না। যদি হয়রানি কিংবা মামলা দেওয়া হয় তবে আমরা রাজপথে এসে জবাব দেবো। আপনারা (সরকার) ভাবছেন, শুধু বক্তব্যই দিয়ে যাচ্ছি কিন্তু আপনারা আমলে নিচ্ছেন না। কীভাবে আমলে নিতে হয় তা আমাদের জানা আছে।’

ডাকসুর সাবেক এই ভিপির মন্তব্য, ‘রামপুরায় এক ছাত্র নিহতের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ আমজনতা কয়েকটি বাসে আগুন দিয়েছে। কারা করেছে সেটা তদন্ত সাপেক্ষে বেরিয়ে আসতে পারে। কিন্তু তার আগেই বিরোধী দলের ওপর দায় চাপিয়ে দেয় সরকার।’

গণ-অধিকার পরিষদের সদস্য সচিবের কথায়, ‘ইউপি নির্বাচনে কী সহিংসতাই না ঘটেছে। ইউপি নির্বাচনে প্রায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং হাজারো মানুষ আহত হয়েছেন। তারপরও নির্বাচন কমিশনার বলছে, সহিংসতাবিহীন নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না কমিশন।’ 

প্রশাসনকে উদ্দেশ করে নুর বলেন, ‘দেশ আজ চরম সংকটের মধ্যে আছে। দেশের মানুষ দুঃসহ যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছে। তাই আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। বিশেষ করে বিচার বিভাগ ও তিন বাহিনীকে আমরা জনগণের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করবো।’

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণ-অধিকার পরিষদের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুখ হোসেন, শাকিল উজ্জজামান, সাদ্দাম হোসেন, আবু হানিফ, যুগ্ম সদস্য সচিব মশিউর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাহ।