মুরাদ হাসানকে গ্রেফতারের দাবি এলডিপির

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি সভাপতি আবদুল করিম আব্বাসী ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেছেন, জিয়াউর রহমানের পরিবারের সন্তান ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য করে মানবতার ন্যূনতম অর্জনকে বিলীন করে দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তার বক্তব্য দেশের নারীসমাজের নিরাপত্তাহীনতা কতখানি ভয়ঙ্কর, তা স্পষ্ট হয়েছে। অনতিবিলম্বে মন্ত্রিত্ব কেড়ে নিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে হবে।’

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এলডিপি সভাপতি আবদুল করিম আব্বাসী ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে এলডিপির দুই শীর্ষনেতা উল্লেখ করেন, বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবিতে যখন সারাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ, তখন এই কুলাঙ্গার দেশের হৃদয়ে আঘাত করেছে। অবিলম্বে মুরাদকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনা হলে দেশের নারীসমাজ রাজপথে এর জবাব দেবে।

বিবৃতিতে এলডিপির দুই-নেতা বলেন, ‘তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ একজন নারীকে নিয়ে যে ভাষায় কথা বলেছেন, একজন মানসিক রোগীও এমন আচরণ করবে না। রাজনৈতিক সহমর্মিতার শেষ বিন্দুটুকু এই মুরাদেরা নষ্ট করে দেশকে গভীর অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর পেছনে কেবল চক্রান্তই নয়, বাংলাদেশকে অরাজক করে তুলতে এমন মন্ত্রীরা অপশক্তির প্রেতাত্মার ভূমিকায় নেমেছে।’

স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে এসব দেশবিরোধী চক্রান্ত দেশের মানুষ আর সহ্য করবে না—উল্লেখ করে আবদুল করিম আব্বাসী ও শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য বর্ণবাদী, বিকৃত ও যৌন হয়রানিমূলক। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই কুলাঙ্গারকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা না হলে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে জবাব দেবে।’

দফতর সম্পাদক শামীম আহাম্মদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে মুরাদের বক্তব্যের পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে। বেগম জিয়ার চিকিৎসাকে বিলম্বিত করে তার মৃত্যু ত্বরান্বিত করতে দেশে-বিদেশে চক্রান্ত চলছে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ববিরোধী এই চক্রান্ত প্রতিরোধ করবে বাংলাদেশের জনগণ।’