সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের দাবি

সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদকে চিন্তার স্বাধীনতার পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ।

শুক্রবার (৭জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সমাবেশ ও কমিটি পরিচিতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তিনি এ দাবি জানান।

বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করতে হবে।  এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ নিজ দল ভুল করুক বা শুদ্ধ করুক, তার বিপরীতে মত দেওয়া যাবে না। এর মাধ্যমে চিন্তার স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী চলছে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, আর সামাজিক ন্যায়বিচারের ঘোষণা দিয়ে এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। বিগত ৫০ বছরে যারাই দেশ পরিচালনা করেছে, তারাই এই ঘোষণার বিপরীতে হেঁটেছে। যার ফলে সাম্যের পরিবর্তে বৈষম্য বেড়েছে। এর নির্মম শিকার নারী-পুরুষ উভয়ই। পুঁজিবাদী সমাজে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতাকে নানাদিক দিয়ে আরও উৎসাহিত ও শক্তিশালী করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে নারীরাও বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম করেছে, অথচ তার কোনও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নাই। সমাজে নারীরা দ্বৈত শোষণের শিকার হচ্ছে। মানবিক মর্যাদা ধুলিস্যাৎ হয়েছে একের পর এক নিপীড়ন নির্যাতনের ঘটনায়।’

সভাপতির বক্তব্যে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রওশন আরা রুশো বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২ নম্বর সেক্টরের অধীনে গেরিলা বাহিনী ক্র্যাক প্লাটুনের সঙ্গে যুক্ত থেকে ঢাকা শহর চষে বেড়িয়েছি। আমি আশা রাখবো, আমাদের নতুন কমিটি সেই তারুণ্যকে ধারণ করে নারী মুক্তির লড়াই চালিয়ে যাবে। বীরাঙ্গনা নারীদের বীরের সম্মান না দিয়ে তাদেরকে ঘরের ভেতরে ঢুকিয়ে দেও্য়া হয়েছে। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের লিস্ট চাই না, রাজাকারদের লিস্ট চাই।’

প্রকৌশলী শম্পা বসুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন— সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দিলরুবা নুরী, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সদস্য ডা. মনিষা চক্রবর্তী, চা শ্রমিক ফেডারেশনের নেত্রী কাজল রায়সহ আরও অনেকে।