জনগণের প্রয়োজনে নির্বাচনে আছি: তৈমুর

২০১১ সালের নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকেই আলোচনায় আসেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। নির্বাচনের কয়েক ঘণ্টা আগে দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এবার আবারও দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে, যে কারণে পদ গেছে দলের। কৌশলে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন তৈমুর। নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে তার বিস্তর অভিযোগ। তারপরও তিনি জনগণের প্রয়োজনে নির্বাচনে আছেন বলে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে জানান।        

‘হাতি’ মার্কা নিয়ে এবারের নির্বাচনে লড়ছেন তৈমুর আলম খন্দকার। নিম্ন আয়ের পেশাজীবীদের কাছে ঘেঁষছেন তিনি। ভোটের মাঠে তার এত অভিযোগ থাকার পরও কেন নির্বাচন করছেন জানতে চাইলে বলেন, ‘থাকছি জনগণের চাহিদার কারণে, জনগণের প্রয়োজনে। জনগণ পরিবর্তন চায়। জনগণ এই সিটি করপোরেশনের কন্ট্রাক্টরদের সিন্ডিকেটের মধ্যে ফেঁসে গেছে। তার এ থেকে মুক্তি চায়।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে জীবনভর ছিলাম। জনগণের অধিকার আদায়ে বাকি জীবন তাদের জন্য কাজ করে যাবো। তারা যে রায় দেয় সেটা মাথা পেতে নেবো।’ এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। আমার লোকজনকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এটাই হচ্ছে নির্বাচনের পরিবেশ।’

নিজের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে তৈমুর বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে বসে তাদের চাহিদা জেনে আলোচনা করে ঠিক করবো কোন কোন কাজে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, আমি একটা গ্র্যান্ড মাস্টার প্ল্যান করবো। আগামী ১০০ বছরে কী পরিমাণ জনসংখ্যা বাড়তে পারে, তাদের চাহিদা কী এবং এই গ্র্যান্ড মাস্টার প্ল্যান করে আমি জনগণের কাছে ছেড়ে দেবো। পরে বিভিন্ন পেশার লোকজন এই প্ল্যান নিয়ে আলোচনা করবে। তাদের পরামর্শ এবং যুক্তি নিয়ে ১০০ বছরের পরিকল্পিত নগরী করার বীজ বপন করবো। নারায়ণগঞ্জে সংস্কৃতি চর্চার একটা ব্যবস্থা থাকতে হবে।’