রাষ্ট্রপতিকে খোলা চিঠি

নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে উদ্যোগের আহ্বান বামজোটের

দেশের নির্বাচনকেন্দ্রিক সংকটসহ গভীর রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা থাকলেও রাষ্ট্রপতি তার মর্যাদাপূর্ণ পদের নৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে সরকারকে নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে কার্যকর রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দিতে পারেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) পুরানা পল্টন মোড়ে জোটের সমাবেশ থেকে জোটের সমাবেশ থেকে জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এই খোলা চিঠি পাঠ করে শোনান।

জোটের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে খোলা চিঠিতে সাইফুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনসহ নির্বাচনকেন্দ্রিক সংকটটি রাজনৈতিক। গত দুটি জাতীয় নির্বাচনের মতো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও যদি ব্যর্থ হয় তাহলে দেশ ও দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ আরও বিপর্যস্ত হবে। সরকার ও সরকারি দল আপনার ওপর ভর দিয়ে বৈতরণী পার হতে চায়। কিন্তু তাতে সংকটের কোনও সমাধান হবে না।

চিঠিতে বামজোট উল্লেখ করেছে, বিদ্যমান ব্যবস্থায় আপাত নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত হলেও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের কোনও বিকল্প নেই।

বামজোট মনে করে, দেশ ও জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ ক্রান্তিকালে রাষ্ট্রের প্রধান অভিভাবক হিসাবে রাষ্ট্রপতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। সরকার ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতৈক্যের ভিত্তিতে সাংবিধানিক নির্দেশনা অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সমঝোতায় আসতে পারে।

জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ কাফি রতন, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের নজরুল ইসলাম, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা মাসুদ খান, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা আবদুল আলী, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) বিধান দাস। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জোটের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, বহ্নিশিখা জামালী, ফখরুদ্দীন কবীর আতিক, শহীদুল ইসলাম সবুজ, আকবর খান, জলি তালুকদার প্রমুখ।

সমাবেশের পর বাম জোট নেতা আকবর খান, শহীদুল ইসলাম সবুজ, জুলফিকার আলী ও সাদেকুর রহমান শামীম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে খোলা চিঠির কপি পৌঁছে দেন।