‘কিবরিয়া হত্যার তদন্তে প্রভাব বিস্তারকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে’

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন তার ছেলে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বারবার বলে আসছি এ হত্যাকাণ্ডের আসল মদদদাতা কে? হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গ্রেনেডের উৎস কী? এ দুইটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে। কিন্তু এ বিষয়ে তদন্তকারীদের আগ্রহ ছিল কম, ছিল রাজনৈতিক হস্তক্ষেপও। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তিনটিতেই ভুল ছিল। এর একটির সঙ্গে আগেরটির কোনও সম্পর্ক নেই।’ বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বনানীতে পিতার কবরে শ্রদ্ধার্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, আমাদের দল ক্ষমতায় গেলে আমার বাবা কিবরিয়াসহ সব হত্যাকণ্ডের বিচার করা হবে। যারা তদন্ত হতে দেয়নি এবং প্রভাবিত করেছে তাদেরও একদিন বিচারের আওতায় আনা হবে।

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘যদি ৪৩ বছর পর বঙ্গবন্ধু ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতে পারে তাহলে শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ অনান্য হত্যারও বিচার করা হবে। এত বছরে কিবরিয়া সাহেবের হত্যার বিচার না হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক।

দলের যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লার সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, ফারুক হাসান,  মহাফুজুর রহমান, ডা. শাহ আজাদ, যুব অধিকারের মনজুর মোরশেদ, তারেক রহমান ও শ্রমিক অধিকারের আব্দুর রহমান।

২৭ জানুয়ারি সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ১৭ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই দীর্ঘ সময়েও হত্যা মামলাটির বিচারকাজ শেষ হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে ঈদ পরবর্তী আওয়ামী লীগের এক জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ওই হামলায় তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত হন। আহত হন ৭০ জন।