আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে দলটির সঙ্গে জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের দাবি করেছে গণঅধিকার পরিষদ। সোমবার (১২ মে) নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
রবিবার (১১ মে) দুপুর ১২টায় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান লিখিত বক্তব্য দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর।
লিখিত বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদ জানায়, দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানান মো. রাশেদ খান।
গণঅধিকার পরিষদ জানায়, শুরু থেকেই তারা গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে।
গণঅধিকার পরিষদ মনে করে, শুধু সাংগঠনিক নিষেধাজ্ঞা নয়, আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত নিবন্ধন বাতিল না হলে এই গণঅভ্যুত্থান অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের পাশাপাশি নিবন্ধন বাতিল এবং চূড়ান্তভাবে দলটিকে নিষিদ্ধ করতে নির্বাচন কমিশন কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেও আশা করেন তারা।
জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদ বলেছে, দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি করতে পাঁচটির বেশি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা উচিত। পাশাপাশি নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমানোর আহ্বান জানানো হয়।