গ্যাস ও পানির মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবিতে গণসংহতির কর্মসূচি

গ্যাস ও পানির মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহার এবং অবিলম্বে বাজার নিয়ন্ত্রণের দাবিতে ঢাকাসহ সারা দেশে টানা দুই দিনের কর্মসূচি ডেকেছে গণসংহতি আন্দোলন। আগামী ২ মার্চ জেলায় জেলায় ডিসি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ এবং ৩ মার্চ ঢাকায় সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে দলটি। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলন ঢাকা জেলার উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় ভোটাধিকার ও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং ভোজ্যতেল চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও গ্যাস-পানির মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধের দাবি জানায় দলটি।

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘দেশের মানুষের ট্যাক্সের পয়সায় বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করছে সরকার। বিদেশিদের পায়ে ধরে দেশের সম্মান ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিচ্ছেন তারা। কাজেই এই সরকারের হাতে দেশ নিরাপদ নয়।’

গ্যাসের দাম ও পানির মূল্যবৃদ্ধির যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা আগামী ১০ দিনের মধ্যে ফিরিয়ে নেওয়ার ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান জোনায়েদ সাকি। তার কথায়, ‘দাবি পূরণ না হলে আগামী ২ মার্চ জেলায় জেলায় ডিসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ এবং ৩ মার্চ ঢাকায় সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করবো আমরা। এতেও যদি কাজ না হয় বিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিও দেওয়া হবে।

জোনায়েদ সাকির মন্তব্য, ‘বাংলাদেশের জনগণ কোনোভাবেই বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না। এখনকার জনদাবি হলো, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্বাচনকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।’

গণসংহতি আন্দোলনের ঢাকা জেলার আহ্বায়ক বাচ্চু ভূঁইয়া সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন দলটির নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু, কেন্দ্রীয় সদস্য অঞ্জন দাস, ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা বাবন, সম্পাদক মাহবুব রতন, ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক আলিফ দেওয়ান।